গোয়াইনঘাটে দুই জয়ীতা নারী পদ্মা-হাজেরার সফলগাতা
1 min read
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: জীবন সংগ্রামে নানা প্রতিকুলতা বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাজসেবা ও শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন গোয়াইনঘাটের পদ্মা ও হাজেরা।
সমাজের পিচিয়ে পড়া নর নারীর উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেন পদ্মাদেবী।নিজের আর্থিক অবস্হা ভাল ছিলনা। কিন্তু হতাশ হননি তিনি। নিজের অদম্য মনোবলে নিয়ে পরিবারের হাল ধরেন। সেই সাথে সমাজসেবায় নিজেকে আত্ম নিয়োগ করেন।
শিক্ষার্জন,বাল্যবিবাহরোধ,মাতৃত্বভাতা,বয়োস্ক,বিধবা ভাতাপ্রাপ্তি, নারী শিশু নির্যাতন,গর্ভকালীন গর্ভউত্তর সময়ে সেবাগ্রহন প্রভৃতি বিষয়ে উঠান বৈঠক,বিভিন্ন সভাসেমিনারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে তুলেন।
৫০উর্ধ পদ্মা দেবী গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তৃপুর উইপির বগাইয়া গ্রামের বজ্রচান সিংহের স্ত্রী। চার সন্তান নিয়ে সংসার চালিয়ে দশ বৎসর ধরে ইউপির সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি রুস্তমপুর ইউপির মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য।
আরেক সফল নারী হাজেরা আক্তার দোলা (২৫) বাবা দুদাল উদ্দিন একজন ক্ষুদ্র কৃষক। দুই ভাই এক বোন নিয়ে ৫ সদস্যদের পরিবার তার। ভাই বোন সবাই লেখা পড়া করেন।কিন্তু এক সময় হাজিরা দেখলেন বাবার আয়ে পরিবারসহ লেখা পড়ার খরচ বহন কষ্ঠসাদ্য হয়ে পড়েছে।পাশের লোক জনের নানা কানমন্ত্রে তাদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধের উপক্রম।
এমন সময় হাজেরা বাবাকে সাহস দিয়ে বলেন আমি পাশে আছি। আমাকে এস এসসি দিতে হবে। পরে হাজেরা এসএসসি পাশ করে উচ্চমাধ্যমিে অধ্যয়নের পাশা পাশি নিজে পরিবারের আয় বর্ধক কাজে সহায়তা করেন।পাশ করেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষ।পরে তিনি রাধানগর ব্রাকের প্রোগ্রামার হিসাবে চাকুরী লাভ করেন। ঘুচতে তাকে পরিবারের টানাপোড়ন।বন্ধ হয়নি ছোটদের লেখা পড়া। চকুরী লাভে গোটা পরিবারকে এনে দিয়েছে সফলতার হাসি। আজ হাজেরা হতাশার তিমীর পেরিয়ে পেয়েছেন আলোর সন্ধান।