ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ‘হজ্ব’: মুফতি জসিমুদ্দীন
1 min read
হজ্ব ইসলামের পঞ্চভিত্তির অন্যতম। এ হজ্বকে কেন্দ্র করে কা’বা শরীফে এবং আরাফার ময়দানে বিশ্বের মুসলমান একত্রিত হয়। এতে গড়ে উঠে বিশ্ব মুসলিমের মাঝে পরস্পর ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি, সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন। সৃষ্টি হয় এক বেহেশতী পরিবেশ। পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের জন্যে সর্বপ্রথম যে ঘরটি নির্মিত হয় তা হলো- পবিত্র কা’বা শরীফ। কালের বিবর্তনে এ ঘর একসময় হারিয়ে ফেলে তার স্বকীয়তা। আল্লাহ তাআলার নির্দেশে হযরত ইবরাহীম (আ.) ও হযরত ইসমাঈল (আ.) সে ঘর পুনরায় নির্মাণ করেন। এব্যাপারে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত ইবরাহীম (আ.)কে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন-
“যখন আমি ইবরাহীমকে বায়তুল্লাহর স্থান ঠিক করে দিয়ে বলেছিলাম যে, আমার সাথে কাউকে শরীক করো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তাওয়াফকারীদের জন্যে, নামাযে দণ্ডায়মানদের জন্যে এবং রুকু-সিজদাকারীদের জন্যে। এবং মানুষের মধ্যে হজ্বের জন্যে ঘোষণা প্রচার করো। তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পীঠে সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে”। (সূরা হজ্ব- ২৬-২৭)।
অন্যত্র হজ্বের মাস, গুরুত্ব ও আদাব সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, “হজ্বের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে (ইহরাম বেঁধে) নিজের উপর হজ্ব অবধারিত করে নেয়, সে হজ্বের সময়ে কোন অশ্লীল কথা বলবে না, কোন গুনাহ করবে না এবং না কারো সাথে কোন ঝগড়া করবে । তোমরা যা কিছু সৎকর্ম করবে আল্লাহ তাআলা তা জানেন । আর (হজ্বের সফরে ) পথ খরচা সাথে নিয়ে নিও । বস্তুতঃ তাক্বওয়াই উৎকৃষ্ট অবলম্বন । আর হে বুদ্ধিমানেরা! তোমরা আমাকে ভয় করে চলো”। (সূরা বাক্বারা- ১৯৭)।