গোয়াইনঘাটের খাদ্য গুদামে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ২৬০বস্তা ধান জব্দ - Shimanterahban24
June 5, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper

গোয়াইনঘাটের খাদ্য গুদামে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ২৬০বস্তা ধান জব্দ

1 min read
গোয়াইনঘাটের চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারছেন না।
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা খাদ্য গুদামে ট্রাক যোগে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ২৬০বস্থা ধান অবৈধভাবে মজুদের সময় স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ জব্দ করেছেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলায় চলতি বছর বোরোধান সংগ্রহের শুরুতেই সুনামগঞ্জ থেকেই ধান ক্রয় করে খাদ্য গুদামে মজুদ কালে ২৬০বস্থা ধান জব্দ করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
গোয়াইনঘাটের কৃষকরা তাদের ধান বিক্রি করতে পারছেন না বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের দূর্নিতীর কারনে গোয়াইনঘাটের কৃষকদের ধান না ক্রয় করে নিজেরাই ব্যাবসায় জড়িত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় এবছর ৭শত মেট্রিক টনেরও বেশি বোরোধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা কৌশলে গোয়াইনঘাটের কৃষকদের ধান ক্রয় না করে ফিরিয়ে দেন। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছে গোয়াইনঘাটের কৃষকরা।
গুদামের দ্বায়িত্বে থাকা ওসিএলএসডি পলি দাস তাহার নিজ এলাকা সুনামগঞ্জ থেকে ধান ক্রয় করে গুদামে মজুদ করতে শুরু করেন। মঙ্গলবার (১৬মে) সকাল ১০টায় উপজেলার পূর্নানগর খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায় ট্রাকবর্তী ধান গুদামে লোড করা হচ্ছে।
এলাকার কৃষককুল ঐ সংবাদের খবর পেয়ে পূর্নানগর খাদ্যগুদামে জড়ো হন। ঐসময় খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কাউকে সেখানে দেখা যায় নি।
অবৈধভাবে খাদ্য গুদামে ধান মজুদের খবরটি এলাকায় চাউর হলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ উপস্থিত হয়ে ধানগুলো জব্দ করেন। তিনি বলেন ২৬০বস্তা ধান জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন,  ধানগুলো সুনামগঞ্জ থেকে এসেছে ঐ সত্যতা আমি পেয়েছি।
ওসিএলএসডি পলি দাসের সাথে সাংবাদকদের যোগাযোগ হলে তিনি জানান, আমি সিলেট জেলা অফিসে একটা মিটিংয়ে আছি, ধানের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন ধানগুলো কৃষকরাই দিয়েছে সুনামগঞ্জের নয় ! তিনি মুঠোফোনে বার বার আমাদের সাথে দেখা করার কথা বলেন। অতচ ট্রাকের হেলপার সাবুল বলেন ২৬০বস্থা ধান ১০হাজার টাকা ভাড়ায় সুনামগঞ্জ থেকে গোয়াইনঘাটে নিয়ে এসেছি। ধানগুলো কে আনিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার (ওস্তাদ) ড্রাইভার বলতে পারবেন। ঐ সময় ট্রাকের চালকে পাওয়া যায় নি।  উপস্থিত গোয়াইনঘাটের কৃষকরা জানান, আমরা গুদামে ধান নিয়ে আসলে ওসিএলএসডি পলি দাস আমাদের ধান রাখেন না, নানা কৌশলে আমাদের ফিরে দেন। পেঠের দ্বায়ে নিরুপায় হয়ে ন্যায্য মূল্যের কমে ধানগুলো স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে বাধ্য হই।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি তদন্ত করে দেখা হবে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষকদের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির সু- ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.