ফিলিস্তিনের আত্নচিৎকার
1 min read
ইকবাল হোসেন :: আল-আকসা! কোটি মুমিনের হৃদয়ের স্পন্দন, হাজারো লাশ আজ তোমার বুকে। তুমি প্রিয় নবিজীর মেরাজের সাক্ষী, কোরআনের সেই আকসা, সেই প্রথম কিবলা তুমিই। তুমি অবাক বিশ্বের বিস্ময় সেনাপতি সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর সংগ্রাম করে নিয়ে আসা ফিলিস্তিন।
প্রতি বছর রমজান আসলেই তোমার বুকে ঝরে পড়ে হাজারো মুমিনের লাশ। হাজারো মুসাল্লী ঢেলে দেন তাদের বুকের তাজা রক্ত।
প্রথম রমজান থেকে শুরু হওয়া ইয়াহুদী হায়নার আগ্রাসন, এবছরও তারা পিছপা হয়নি, থাবা মারে ভিন্নরূপে হিংস্র পশুর মতো। গা শিউরে ওঠে।
তবে এবার কিছুটা শান্তির নিঃশ্বাস ফেললেও স্বস্তিটা দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘায়িত হতে পারেনি। পারেনি শেষপর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে তোমার চরণে।
বন্দুক বাজি ও বোমাবাজিতে আবারো কত-শত শিশু রক্তাক্ত, হাজারো মা শোকে কাতর, হাজারো বাবার সোনালী পরিবার আজ ধূলোয় ধূসরিত, ম্লান হয়ে গেছে তাদের রঙিন স্বপ্ন। সব হারিয়ে তারা নিঃস্ব, সম্বলহীন পাগলপারা।
আজ বাতাসে লাশের গন্ধ, ভেসে আসে তাদের কান্নার আওয়াজ, চোখের সামনে ভেসে ওঠে তাঁদের অশ্রুঝরা আর্তনাদ।
প্রিয় আকসা ক্ষমা করে দিয়।
আমি যে এক দূর্বল বান্দা, আমি যে নিঃস্ব, ভাঙা কলমও চোখের জল ছাড়া আমি আর কি বা ঝরাতে পারি। তাই
আমার ভাঙাচোরা কলম লিখবে ফিলিস্তিনের মাজলুম মুসলামানের কথা!
যাদের ইজ্জত-আবরু, জান-মাল ও শহর-জনপদ ধ্বংস হয়ে গেছে দুষ্ট ইজরায়েলের ছোবলে। দীর্ঘকাল যাবত যারা নীড় হারা, বাস্তুহারা, যাদের বাঁচার কোন উপায় নেই। আত্নঘাতী হামলা তাঁদের চারপাশ ঘিরে আছে।
শরীরের জখম ও হৃদয়ের ক্ষত নিয়ে তবুও তাঁরা অটল অবিচল, বাইতুল মুকাদ্দাস রক্ষায়।
চারপাশের প্রকৃতি যেনো প্রকম্পিত, ধূসর একটা আলোয় ভরে গেছে চারপাশ। তাদের কাঁটা বেঁধার খচখচ শব্দ কানে বাজে প্রতিনিয়ত।
ইয়া মাবুদ! সইতে পারছি না, বিষন্নতায় ছেয়ে গেছে এ হৃদয়।
নাহ.. আর সহ্য হয়না, আমার ভাঙা কলম ও যেন অবশ হয়ে গেছে আর কিছু লিখতে।
লেখক: শিক্ষার্থী ও ছড়াকার।