ঈদের আগে কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি চায় হেফাজতে ইসলাম
1 min read
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে বিনা বিচারে কারাবন্দি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলেম, মাদরাসাছাত্র ও তাওহিদী জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হতাহত করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী ও আলেমকে গ্রেফতার করে জেলে ভরা হয়। যাদের একটি অংশকে বিনা বিচারে এখনো কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, ‘বিনা বিচারে কাউকে বন্দি করে রাখা এক প্রকার ‘বিচার বহির্ভূত শাস্তি’। ব্যক্তি, গোষ্ঠী, যেকোনো বাহিনী বা সরকার যেই এটা করুন না কেন, এটা অপরাধকর্ম। যা বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার এবং বিদ্যমান আইনের স্পষ্ট বরখেলাপ বা লঙ্ঘন। বিচারবহির্ভূতভাবে আলেম-উলামাদেরকে শাস্তি দেয়ার যে কৌশল সরকার প্রয়োগ করছে, তা চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর পরিচালিত নির্যাতনের সাথে তুলনীয়। এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে তদন্ত করার জন্য আমরা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
বিবৃতিতে হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবি, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাগারে বন্দি সকল আলেম-উলামা ও হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের শর্তহীনভাবে মুক্তি দিন।’
তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। তাদেরকে আপন পরিবারে ফিরে গিয়ে ঈদ উৎসব পালনের অধিকার দিন। অন্যথায় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া ঊর্ধ্বগতি ও বহুমাত্রিক নাগরিক অসন্তোষে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যেভাবে অস্থির হয়ে ওঠছে, সেখানে দেশের ইসলাম অনুরাগী তৌহিদী জনতাকে শান্ত রাখা দুরূহ হয়ে পড়বে। একইসাথে রহমতের মাসে আলেম-উলামা ও নির্যাতিত মানুষের অশ্রুঝরা ফরিয়াদ থেকে এমন দুষ্কর্মে জড়িত কেউই আল্লাহর আযাব-গযব ও ক্রোধ থেকে রেহাই পাবেন না।’