রাজধানীতে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের ইফতার মাহফিল
1 min read
রবিবার (১৭ রমজান, ০৯ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ খানা বাসমতি রেস্টুরেন্টে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘মাহে রমাযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ইসলামী ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ জিহাদ বা যুদ্ধ “বদর” এই দিনে (১৭ রমাযান) সংগঠিত হয়েছিল। বদর যুদ্ধের চেতনা নিজেদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে ছাত্র জমিয়তের প্রতিটি কর্মী সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। বদর যুদ্ধে যারা আবু জেহেলকে হত্যা করেছিল তারা বয়সে কিশোর ছিল। তারা রাসুল সা. এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রুকে হত্যা করেছিল। সেই কিশোর যোদ্ধাদের চেতনাকে বুকে ধারণ করে আমাদেরকে সম্মুখপানে অগ্রসর হতে হবে। ছাত্র জমিয়তের মূল শ্লোগান হলো “ব্যক্তিগঠন”। যদি আমরা নিজেকে উত্তমরূপে গড়তে না পারি। তাহলে ভবিষ্যত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি আরোও বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রাথমিক পলিটিক্যাল বিদ্যালয় হলো “ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ”। ছাত্র জমিয়তের প্রতিটি কর্মীকে জমিয়তের আদর্শে গঠন করে তুলতে হবে। রাসুল সা. সুন্নতের পাবন্দ ও সাহাবায়ে কেরামের আর্দশকে ধারন করতে হবে। আকাবির ও আসলাফের চেতনার উপর অটল অবিচল থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একজন আদর্শ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলা যায় সেই নিরলস চেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে। তাহলেই আগামী দিনে আমরা যে ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
রিদওয়ান মাযহারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমদের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মাহবুবুল আলম, সহ অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবুল বাশার, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন।
সভাপতির বক্তব্যে রিদওয়ান মাযহারী বলেন, রমাযান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস, নিজেকে পরিশুদ্ধ করার মাস, কুরআন নাজিলের মাস, আমরা যারা সুষ্ঠু সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছি এবং কুরআনের শাসন বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখে যাচ্ছি, আমরা যদি মাহে রমাযানের শিক্ষা নিয়ে তাকওয়া অর্জনের এই মোক্ষম সময়ে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করতে পারি এবং কুরআনের খেদমত ছড়িয়ে দিতে পারি, তাহলে তা আমাদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য পূরণে সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক: মুফতী নূর মোহাম্মদ কাসেমী, ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি নুরুল আলম ইসহাকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বিন ইয়ামিন, সেচ্ছাসেবক সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, যুব জমিয়ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মাওলানা মাঈনুদ্দিন মানিক, ছাত্র জমিয়তের সাবেক সভাপতি এখলাছুর রহমান রিয়াদ, সাবেক সহ সভাপতি সালমান মুস্তফা খান, ছাত্র জমিয়তের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ইবনে ওমর, ছাত্র
জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাহমুদ হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক, রফিকুল ইসলাম আইনী, সহ সাধারন সম্পাদক নাসিম খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাআদ বিন জাকির, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আমিনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সুফিয়ান মানসুর, প্রশিক্ষন সম্পাদক মুঈনুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক হাসান মাহমুদ। পাঠাগার সম্পাদক এনামুল হাসান নাঈম, নির্বাহী সদস্য ইসমাইল শেখ ,কে এম তাহমিদ হাসান।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক, তৌহিদুল ইসলাম মাসউদ, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক, যুবায়ের আহমদ, মহানগর পূর্বের কলেজ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল বাকি, চাঁদপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক, নুরুল আমীন, গাজীপুর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ সহ প্রমুখ।