তুরস্কে নানান সংস্কৃতিতে পালিত হয় রোজার ইফতার ও সেহরি - Shimanterahban24
May 29, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper

তুরস্কে নানান সংস্কৃতিতে পালিত হয় রোজার ইফতার ও সেহরি

1 min read

ইউরোপের মুসলিম দেশ তুরস্ক। ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির অনন্য নিদর্শনে ভরপুর দেশটি। দেশটিতে রমজান মাসে প্রচলিত আছে অনেক রীতি ও নীতি। রমজানে সওয়াব ও সৌভাগ্য লাভে তারা নানান ধরনের রীতি-নীতি পালন করে থাকেন। কী সেগুলো?

তুরস্কে নানান সংস্কৃতিতে পালিত হয় রোজার ইফতার ও সেহরি

সওয়াব  সৌভাগ্যের রীতি

প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এ রীতির পেছনের বিশ্বাস হলো, সেহরিতে মুসলমানদের জাগিয়ে দেওয়া অন্য মুসলমানের জন্য সওয়াব ও সৌভাগ্য বয়ে আনে। ঠিক এ বিশ্বাস থেকেই যুগ যুগ ধরে একদল মানুষ কেবল রমজান মাসের তাৎপর্যকে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে বাজিয়ে চলেছেন ঢোল-দামামা।

ডাক-ঢোলদামামা বাজিয়ে সেহরির জন্য জাগানো হয়

একদল মানুষ ডাক-ঢোল-দামামা বাজিয়ে সেহরির সময় জাগিয়ে তোলেন তুরস্কের মানুষকে। কিন্তু শুধু গান গেয়ে বা উঁচু গলায় ডেকে নয়, তারা রাস্তায় নামেন ঢোল-দামামা বাজিয়ে শব্দ করেন। ঢোলের শব্দে জেগে ওঠে পুরো ইস্তাম্বুল।

সেহরির আয়োজনে ড্রামের ব্যবহার

সেহরির সময় হলেই দেশটির অলিগলিতে বেজে ওঠে ড্রামের শব্দ। মানুষকে সময়মতো জাগিয়ে দেওয়ার জন্য একদল তুর্কি ড্রাম বাজিয়ে গান গেয়ে ডাকাডাকি করেন। নারীরাই প্রথমে ঘুম থেকে জাগেন। তারা সেহরির খাবার তৈরি করেন। পুরুষদের জাগিয়ে দেন।

সেহরি-ইফতারে কামানের আওয়াজ

সেহরি ও ইফতারের সময় তুরস্কেও কামানের গোলার আওয়াজ শোনা যায়। দিনের বেলায় রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকান বন্ধ থাকলেও দুপুরের পর থেকেই চলতে থাকে ইফতারের আয়োজন। সেহরির সময়ও রেস্তোরাঁগুলো খোলা রাখা হয়।

সেহরিইফতারে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণ

দেশটিতে সেহরি ও ইফতারের সময় অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদেরও অংশগ্রহণ করতে দেখায় । তারা মুসলমানদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সৌহার্দ্য বজায় রেখে সেহরি ও ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।

বইমেলা  কোরআন প্রতিযোগিতা

রমজান এলেই তুরস্কের আমেজ হয় অন্যরকম। মসজিদের পাশে বইমেলা এবং কোরআন প্রতিযোগিতা তুরস্কের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

জলপাই দিয়ে ইফতার

ইফতারে তুরস্কের ঐহিত্য হচ্ছে জলপাই খাওয়া। তারা খেজুরের পরিবর্তে জলপাই দিয়ে ইফতারের সময় রোজা ভাঙেন।

কর্মঘণ্টা কমানো হয় না

রমজান মাসে সরকারি অফিস-আদালতের কর্মঘণ্টা বা সময় পরিবর্তনের কোনো আয়োজন নেই তুরস্কে। অফিস-আদালত ঠিক রেখেই তারা ইফতারের আগে ঘরে ফেরার চেষ্টা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.