রমজানে ওমরাহ পালনে মিলবে বিশেষ সাওয়াব  - Shimanterahban24
May 29, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper

রমজানে ওমরাহ পালনে মিলবে বিশেষ সাওয়াব 

1 min read
Abu Talha Tufayel / আবু তালহা তোফায়েল
আবু তালহা তোফায়েল :: সিয়াম সাধনার মাস রমজান। বছর ঘুরে আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। এই মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি নেক আমলে মিলবে কল্পনাতীত সাওয়াব।
যেমন কুরআন তেলাওয়াতের প্রতি হরফে ৭০ নেকি করে পাবে তেলাওয়াতকারী, এ মাসে রয়েছে ১টি রাত ‘লাইলাতুল কদর’। এ রাত্রি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা সূরা ক্বদরের ৩নং আয়াতে বলেন “লাইলাতুলকদর এক হাজার বছরের উপেক্ষায় উত্তম”। ঠিক তেমনি ওমরাহ পালনেও রয়েছে বিশেষ সাওয়াব। বছরের অন্যান্য মাসে ওমরাহ পালনে শুধু ওমরাহর সাওয়াব মিললেও রমজান মাসে ওমরাহ পালনে মিলবে হজের সাওয়াব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এক ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ; উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহর) জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর জান্নাতই হলো কবুল হজের প্রতিদান। (বুখারি ১৭৭৩)
হজের তুলনায় ওমরাহর আমল অনেক সহজ। তাই সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ করা উচিত। এছাড়াও অধিক ওমরাহ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার রিজিকে বরকত দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা ধারাবাহিক হজ ও ওমরাহ আদায় করতে থাকো। এ দুটি আমল দারিদ্র্য ও গুণাহ বিদূরিত করে দেয়। যেমন- ভাটার আগুনে লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা-জং দূরীভূত হয়।’ (তিরমিজি ৮১০)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক আনসারি নারীকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের?’ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু (ওই) নারীর নাম বলেছিলেন; কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি। ওই নারী বলল, ‘আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল; কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (অর্থাৎ মহিলার স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছেন। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যার দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি।’ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আচ্ছা, রমজান এলে তখন ওমরাহ করে নিও। কেননা রমজানের একটি ওমরাহ একটি হজের সমতুল্য।’ (বুখারি ১৭৮২)
এই হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, রমজান মাসে ওমরাহ পালনে মিলবে হজের সাওয়াব। কেননা রমজান মাসকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিভিন্ন কারণে সম্মানিত করেছেন। এই মাসে পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। রমজান মাসে সপ্তম আকাশের লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশে বায়তুল ইজ্জতে পবিত্র আল-কোরআন একবারে নাজিল হয়েছে। সেখান হতে আবার রমজান মাসে অল্প অল্প করে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি নাজিল হতে শুরু করে। কোরআন নাজিলের দুটি স্তরই রমজান মাসকে ধন্য করেছে।
হাদিসে রমজান মাসে যেসব আমলের তাগিদ পাওয়া যায় ওমরাহ তার অন্যতম। রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেন, রমজানে ওমরাহ করলে আমার সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। তাই সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওমরাহ করা উচিত। আমি মনে করি, তা বারবার করা উচিত। হজ ও ওমরাহ পালনের মাধ্যমে মানুষের ভেতর দ্বিনি অনুপ্রেরণা তৈরি হয়।
আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়।
মক্কা-মদিনার পবিত্র ভূমিকে আল্লাহ তার নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ, এ ভূমিতে ইসলামের আগমন হয়েছে এবং ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগ্রামের স্মৃতি বহন করছে এই ভূমি। তাই মক্কা-মদিনা জিয়ারত করলে মানুষের ঈমান জাগ্রত হয়। ভালো কাজের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার সাহস পাওয়া যায়।
আল্লাহ আমাদের মকবুল ওমরাহ পালনের তৌফিক দিক, সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত করুক। আমিন।
লেখক : তরুণ আলেম, সাংবাদিক ও সংগঠক। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.