মুখোশ
1 min read
[রওশন আরা তাবাসসুম]
১.
মধ্যরাত পার হয়ে গেছে। ঘড়ির কাঁটা একটার ঘর স্পর্শ করবে কিছুক্ষণের ভেতর।
রাতের গভীরতার সঙ্গে মহানগরীর নিস্তব্ধতা বাড়ে। যারা কষ্টে থাকার দলে, তাদের বাড়ে
বেদনা; আর সুখীদের- চাহিদার অসুখ।
রাতের ঢাকা যেনো মানুষের জীবনের প্রতিবিম্ব। অসহায় মানুষগুলোর দেখা মেলে।
সত্যিকারের অসহায় মানুষগুলোকে দেখতে দেখতে রাস্তার পাশের একটা ছোট্ট
ঝুপড়িতে ঢুকে পড়লো ইশানি। এটাই ইশানির প্রাসাদ! ইশানি মনে করে,
আমাদের চিন্তা আমাদের সুখ দেয়, আবার আমাদের চিন্তাই আমাদের ব্যথা দেয়।
সমাজের বাঁধা-বিপত্তি সাময়িক সমস্যা মাত্র।
ইশানি ঘরের এক কোণে একটা দিয়াশলাই জ্বালিয়ে বোঝার চেষ্টা করলো নামমাত্র
আসবাবপত্রের বর্তমান অবস্থান। হাতড়ে পেলো একটা মোমবাতি! জ্বালিয়ে নিলো
সে। রাতের অন্ধকার কত অদ্ভুত না? এত নিকোষ অন্ধকার থাকা সত্তে¦ও অনায়াসে
সামান্য আলো আমাদের দেখার পরিধি বদলে দেয়। অথচ! জীবনের ক্ষেত্রে এমন হয়না।
আজ সারাদিন বেশ ধকল গেলো বেচারার। পথে পথে নারীলোভীদের চোখ উপেক্ষা করে
নিজেকে নিয়ে ভাবতে পারাটা চাট্টিখানি কথা নয়। সারাদিনের ব্যস্ততায় খাবারের
কথা ভুলে গিয়েছিলো সে। বস্তিতে একজন হিন্দু মেয়ে আছে। যাকে সে দিদি
ডাকে! ভালোবাসে একদম নিজের বোনের মতো। এত রাতে রান্না করার চেয়ে দিদির
কাছে চাইতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে সে।
“দিদি! আছো?” বলে হাঁক ছাড়ে একটা।
“ইশানি! তুই এত রাতে?”
“তোমার ঘরে একটু খাবার হবে? আমার রান্না করতে ইচ্ছে করছেনা।”
“আয় ঘরে। আজকে তেমন কিছু নেই। জিনিসপত্রের যা দাম বেড়েছে। শুধু নূন
ভাত আর ঝাল আছে। ডলে ডলে পান্তা বানিয়ে খাবি। আয়!”
ইশানি কোনো অভিযোগ না করে চুপচাপ দিদির কথামতো দিদিকে অনুসরণ
করে। কারণ এখন এই স্বাদহীন খাবার না খেলে এটাও জুটবেনা তার।
“ইশানি!”
“হু!”
“তুই প্রতিদিন রাতে বের হোস। সকালে ঘরে ফিরিস। কী করিস তুই বল তো?”
“কিছু না দিদি। এমনিই শহর ঘুরে মানুষ দেখি। এই যে দেহ! এটার লোভে কত
পুরুষ নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারে। সেটা দেখি।”
“আমি তোর প্রতি বিশ্বাস রাখি ইশানি। তুই শিক্ষিত। এমন কিছু করবি না
যাতে তোর নিজের ক্ষতি হয়।”
“দিদি! মানুষ নিজের লাভ ক্ষতির হিসেব কখন করে জানো? যখন সে নিজের
সত্ত¦াকে খুঁজে পায়। আমি তো আমাকে কোথাও খুঁজে পাইনা দিদি।”
“তোর এসব কথা আমার বুঝে আসেনা। শুধু কখনো ভুল পথে যাস না।”
“আচ্ছা!”
এটুকু বলেই মাথা নীচু করে খাওয়া শেষ করে দ্রুত সরে পড়ে ইশানি। কারণ এখন
দিদির কাছে থাকলে দিদি অনেক লেকচার দেওয়া শুরু করবে। যেটা সে নিতে চাচ্ছে
না। দিদি সম্ভবত কিছু একটা সন্দেহ করেছে। নাহ্ধসঢ়;! আরেকটু সতর্ক হতে
হবে।
২.
“তোর কী মনে হয়না এখন বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা দরকার?”
“ভেবেছিলাম। কিন্তু বাবা-মা মানবেনা রে। তুই বাদ দে না। জীবন তো ভালো
চলছে। অদক্ষ নাবিক হয়েও এত ভালোভাবে জীবন জাহাজ সামলে নিতে পারবো
ভাবিনি। আই নো ইউ নো, দ্য অনলি ফেইলর ইজ নট ট্রায়িং।”
“তোর নিজের কথা নিজের উপরই লঘু হয়। ভেবে দেখিস বিষয়টা! আমরা তো
একটা সমাধানে আসতে চাচ্ছি।”
“কী হবে সমাধানের বলতে পারিস? আমি সম্মান পাবো? যেমন করে তুই পাস?
”
মৃন্ময়ী চুপ হয়ে যায়। ইশানির এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই তার কাছে।
আসলেই তো! সমাজ যাকে একবার একটা প্রচলিত ধারায় ফেলে সে ধারা থেকে
বের করে উচু জাতের তকমা লাগাতে চায়না সহজে। বছরের পর বছর চেষ্টা করে হয়তো
সম্ভব হয়।
মৃন্ময়ী হচ্ছে ইশানির প্রিয় মানুষ। যেমন আমাদের সবার একটা নিজস্ব মানুষ
থাকে না? যার সাথে একটা অন্য মাত্রার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়, যে আপনাকে
জাজ করার ভয় থাকেনা। মৃন্ময়ী হচ্ছে তেমন মানুষ। এতক্ষণ দ্#ু৩৯;জন মিলে জীবনের
একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলো। কিন্তু কোনো সমাধানে আসা
হলো না। হয়তো মৃন্ময়ী বিষয়টার গুরুত্ব বুঝাতে পারছেনা কিংবা ইশানি
বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে চাচ্ছে না। যে বুঝাতে পারেনা দুটোই তার জন্য কষ্টকর।
৩.
“তোর মাথায় হঠাৎ এই আইডিয়া কেমনে আসলো ইশানি?”
“দেখ! জীবনে কিছু করাটা জরুরী। আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।”
মৃন্ময়ী কিছুটা ব্যঙ্গ করে বললো, “এখন অন্যের পায়ে দাঁড়িয়ে আছিস নাকি?”
ইশানির গম্ভীর চোখ রাঙানি দেখে আর কথা বাড়ায় না মৃন্ময়ী। মূলত তারা
আজকে একটা ব্যবসা নিয়ে কথা বলছিলো। যেটা খুব ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেও
ইশানির আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে। এছাড়া যদি সবার সহযোগিতা পাওয়া যায়,
তাহলে খুব ভালো একটা কর্মক্ষেত্রও তৈরি হবে বস্তির বেকারদের জন্য।
মূলত ইশানি একটা টেইলারিং দোকানের কথা ভাবছে। সেটাই জানায় মৃন্ময়ীকে।
মৃন্ময়ী আশ্বাস দেয়, যেভাবেই হোক, সে ব্যবস্থা করে দিবে। মৃন্ময়ীর আশ^াসে
স্বস্তির শ^াস নেয় ইশানি। এই দুনিয়ায় সবার জীবনে অন্তত একটা মানুষ থাকে,
যে কোনো উপকার করতে না পারলেও তার সঙ্গ একটা নিরাপদ অনুভ‚তি দেয়।
আত্মবিশ^াসের প্যারামিটার যখন নি¤œদিকে ইঙ্গিত করে, এই মানুষগুলোর ছোট্ট
একটা কথা তখন পৌঁছে দেয় আত্ববিশ^াসের চ‚ড়ায়।
৪.
আজকে ইশানির দোকানের ওপেনিং। এটাকে দোকান বলে কিনা জানা নেই।
ইশানির ছোট্ট ঝুপড়ির এক পাশে একটা সেলাই মেশিন রাখা। ইশানি সেলাই
জানে। সেটাকে উপার্জনের মাধ্যম করার কথা ভেবেছে। দোকানটা আস্তে আস্তে
বড় করার স্বপ্ন দেখছে সে, তাই এটাকে দোকানই বলছে। আজকে সারাদিন সে
বস্তির সবাইকে বলে এসেছে এখন থেকে তারা যেনো সব সেলাই এর কাজ
ইশানিকে দিয়েই করায়। বস্তির লোকজনও কথা দেয় করাবে।
সবাই দোকানের উদ্বোধন করে সকালের সময়টায়। যখন আলোতে পরিপূর্ণ থাকে
চারিপাশ। কিন্তু ইশানির আলো আধারির খেলাটা খুব পছন্দের। কারণ সে জানে,
আলো আধারের খেলায় কতশত মানুষের রূপের খেলা লুকানো আছে। আজকাল
সবকিছু কৃত্রিম লাগে তার। হয়তো মানুষগুলোই এমন কিংবা ইশানির জীবন
এভাবে ভাবতে বাধ্য করছে। বড় রাস্তার মোড় থেকে ভেসে আসা মাগরিবের আযান
যেনো ইশানির দোকান উদ্বোধনে একটা চমৎকার ঢেউ খেলে দিলো, হয়তো রব
মনে করিয়ে দিলেন তিনি আছেন ইশানির পাশে।
৫.
হাতে গুণে পাক্কা ৩টা বছর কেটে গেলো ইশানির জীবনে। এই তিন বছরে নিজেকে
ভেঙ্গে আবার নিজেই জুড়েছে বহুবার। স্বপ্নগুলোকেও খন্ডিত করে ফেলেছে সে।
আজকে তাকে বর্ষসেরা উপার্জনকারী হিসেবে এওয়ার্ড দেওয়া হবে লিসেনিং
ওয়ার্ডস থেকে। জীবনের তিনটা বছর যে তিন হাজার বছরের মত কঠিন করে
কাটলো সেসবই ভাবছিলো সে। এমন সময় মাইকের আওয়াজ তার মনোযোগ নষ্ট
করলো।
“আমাদের মাঝে একজন বিশেষ মানুষ উপস্থিত আছেন। যিনি তার ব্যক্তিগত
জীবনে অনেক স্ট্রাগল করে আজকে এখানে পৌঁছেছেন। আমরা তার এই সফলতার
সঙ্গী হতে পারায় আনন্দ বোধ করছি।”
কথাগুলো শুনে হাসে ইশানি। কয়েক মাস আগেও যে মানুষগুলো এক পয়সা দাম
দিতো না। আজকে তাদের মুখে মুখে ইশানির নাম। সত্যিই সফলতা আর ব্যর্থতা
সম্পর্কের অবস্থান বদলে দেয়।
“আমি ইশানিকে অনুরোধ করছি বর্তমান প্রজন্মের উদ্দেশ্যে স্টেজে এসে কিছু
বলার জন্য।”
ইশানি স্টেজে উঠে মাইক হাতে নিয়েই অডিয়েন্সের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে
নিলো। শরীরে জড়ানো ওড়নাটা খুলে ফেলে সে। হঠাৎ এমন কান্ড দেখে সবাই ভীষণ
অবাক হয়।
ইশানি বিড়বিড় করে কথা বলা শুরু করে। যেনো আজকের দিনের অপেক্ষায় ছিলো সে।
ঐশ্বরিক ভাবে কখনো এরকম বড় জায়গায় কথা বলার সুযোগ হয়নি বলে কিছুটা
অপ্রস্তুত মনোভাব নিয়েই বলা শুরু করে নিজের সমস্ত কথা।
“আপনারা এই যে দেখছেন আমাকে! এটাই আমি। জী! আমি একজন তৃতীয়
লিঙ্গের মানুষ। যাকে আপনারা সোজা ভাষায় হিজরা বলেন।”
এটুকু বলার পর একটু দম নেয় সে। দীর্ঘ বক্তব্যের প্রস্তুুতি যাকে বলে আরকি!
অডিয়েন্স হতভম্ব হয়ে একটু নড়েচড়ে বসলো।
“কি! অবাক হচ্ছেন খুব? হবেন না প্লিজ। আমি যেদিন প্রথম বুঝতে পারি,
আমি নারীও না, পুরুষও না। সেদিন খুব কেঁদেছিলাম। নিজেকে নারী শরীরের
আড়ালে লুকিয়ে রাখতে চাইতাম। কিন্তুু কিছু মানুষের লোভ আমার এই
দ্বিধাগ্রস্ত শরীরকেও ছাড়েনি। দিনের পর দিন চলে আসা নানারকম অবিচারের
বিচার কার কাছে চাইতাম? আমি তো হিজরা। আমার কথা শোনার কেউ নেই।
সমাজ আমাকে মেনে নেবেনা ভেবে বাবা মায়ের থেকেও নিজেকে লুকিয়ে
রেখেছিলাম। একদিন বাবা টের পেয়ে যান আমার মধ্যে মেয়েলী স্বভাবগুলো নেই।
আমি বেশিই অস্বাভাবিক। সেদিন বদনামের ভয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন বাবা।
এই যে! মালতি দিদি। যার কথা আমি সব সময় বলি। এই অল্প শিক্ষিত মানুষটা
সেদিন আমাকে বসিÍতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। কারণ আমি স্টেশনে ট্রেনের
অপেক্ষা করছিলাম। ঘরে ফেরার জন্য নয়, জীবনের ইতি ঘটানোর জন্য। দিদি ডেকে
বলেছিলেন, আত্মা শরীর ছাড়লেই কী সব সমাধান হয় রে পাগলি? দিদির সেই
কথাটা আমাকে সেদিন নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছিলো।
বান্ধবী মৃন্ময়ীর সহযোগিতা আমি কখনো ভুলবো না। আমার কৃতজ্ঞতার
তালিকায় এই মানুষটা সবসময় থাকবে। পরিচয়ের পর থেকে বিনা প্রশ্নে পাশে
ছিলো সে। আপনাদের সভ্য সমাজ আমাকে একজন শোষক ভাবে। আমরা নাকি জোর
করে টাকা তুলি! কই আমি তো কখনো এমন করিনি। কিন্তু আপনারা কী
করেছেন? আপনারা আমাকে নূন্যতম সম্মানটুকুও দেননি। তুই সম্বোধন করে
এমন হীনভাবে কথা বলতেন শুনলে মনে হতো আমার জন্ম হয়তো কোনো কীট
পতঙ্গের চেয়েও গুরুত্বহীন। মনে হতো আমি আপনাদের মূল্যহীন কোনো পয়সার
থেকেও বেশী মূল্যহীন। আমি কী বেশি কিছু চেয়েছিলাম? শুধু নিজের পরিচয়ে
বাঁচতে চেয়েছিলাম। এটাই অপরাধ?
একটা ছোট্ট দোকান শুরু করেছিলাম। আপনারা সেটাও টিকতে দিলেন না। একজন
নারী কাজ করছে বলে রোজ এই সেই প্রস্তাব দিতেন। অথচ আমার শরীরটা শুধু নারীর
নয়। এটা নারী পুরুষের সমন্বয়। জানলে হয়তো ঘেন্নায় পাশও ঘেষতেন না।
এইযে! আপনারা বলেন, আমরা কাজ করে খাইনা। কতজনের কাছে চাকরীর জন্য হাত
পেতেছিলাম। দিয়েছেন কেউ? দেননি। দিবেন কেনো? একটা হিজরাকে কাজে
রাখলে আপনাদের সম্মানে বাঁধবে। কারণ, আমি আমার নিজস্ব পরিচয়েই চাকরি
চেয়েছিলাম। লিসেনিং ওয়ার্ডস এর কাছে কৃতজ্ঞ। তারা নতুন করে ভেবেছে।
তারা বিশ্বাস রেখে দুইবছর আগে আমাদের জন্য যে স্কিল ডেভেলপ করার যাত্রা শুরু
করেছিলো। আজকে আমি নিজের জীবনে পাওয়া এওয়ার্ডের মাধ্যমে তা সফল মনে
করছি। এই মানুষগুলোর একটা সুন্দর ভাবনা আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে, আমার
মত কয়েক হাজার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ নিজেকে ভালোবাসতে শিখেছে। বিশ^াস
করুন, এখন আর আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করেনা আমার লিঙ্গ কী! বরং জিজ্ঞেস করে
আমি কাজটা পারবো কিনা।”
এক নাগাড়ে এতগুলো কথা বলে একটু দম নিলো ইশানি। এরপর আবার শুরু করলো।
“আমি ইশানি এটাই জানতেন আপনারা। আবার কেউ আমাকে শান নামেও
জানতেন। হ্যাঁ! আমি হিজরা বা কিন্নর। যা খুশি বলতে পারেন। কিন্তু আজ থেকে
আমি শান আমার দুই চরিত্রের মুখোশ ছেড়ে নিজের পরিচয়ে বাঁচবো। আমার
নিজের জায়গা এবং অধিকার নিয়ে চলবো। আমার কাজ আমার পরিচয় হবে।
আপনাদের সভ্য সমাজের পুরান প্রথা বিলোপ পাওয়ার আশা রেখে বক্তব্য শেষ করছি।
ধন্যবাদ!”
পুরো অডিটোরিয়াম করতালিমুখর হয়ে উঠলো কয়েক সেকেন্ডে। কেউ বুঝে
করতালি দিয়েছে, কেউ না বুঝে, কেউ বা হৃদয়স্পর্শী মনে করে করতালি দিয়েছে।
যা কিছুই হোক না কেনো আজ থেকে শান মুক্ত! এখন থেকে সে শানই থাকবে
সব সময়। তার আলাদা কোনো চরিত্র নেই। মধ্যরাতের শহরে তাকে আর কেউ নারী ভেবে
গায়ে হাত দিতে চাইবেনা কিংবা চাঁদের আলোয় ভাসতে চাইবেনা শরীর সুখের
উন্মাদনায়।
যুগে যুগে জন্ম নেওয়া অসভ্যদের প্রতি ক্ষোভ রেখে কী লাভ ভেবে পুরোনো
মানুষগুলোকে ক্ষমা করে দেয় সে। এওয়ার্ড না নিয়েই বেরিয়ে গেলো শান। আজ
সারা রাত বাহিরে কাটাবে সে। প্রিয় ছাতিমের ঘ্রাণ নিবে শেষবারের মত। কারণ
ছাতিমগাছের ঘ্রাণকে বিষন্নতার ঘ্রাণ নাম দিয়েছিলো শান। আজ থেকে
সমস্ত বিষন্নতার বিদায় জীবন থেকে। সুখময় জীবন গড়ার স্বপ্নে হাঁটছে সে
প্রিয় গাছের উদ্দেশ্য।
লেখক : সাংবাদিক