ইউএনও-এর উদ্যোগে গোয়াইনঘাট সদরে সূর্যের হাসি
1 min read
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: আকাশের সূর্য নয়,সবুজ গাছের মাতায় হাসছে সূর্যমুখি ফুলের বাগান সাথে রয়েছে ভুট্টা। প্রশাসনিক এলাকার যুগযুগান্তরের পরিত্যাক্ত জমি চাষের আওতায় এনে রুপান্তরিত হয়েছে এক দৃষ্টিনন্দন মাঠে। প্রকৃতি প্রেমিদের মনেও দোলা দিচ্ছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রশাসনিক এলাকার ব্যায়াম লেবরোটরী স্কুলের পিছনে পরিত্যাক্ত জমিতে সত্যিই সূর্যের হাসি দেখা যায়। এখানে প্রায় দেড় একর জমি সমতল করে মাঠ করা হয়। গত বন্যায় গোয়াইনঘাটের অনেক কৃষকে হালিচারা করার সুযোগ করে দেন ইউএনও গোয়াইনঘাট । পরে পতিত না রেখে ঐ জমিতে পরীক্ষমূলকভাবে সূর্যমুখি ও ভুট্রার চাষ করা হয় কৃষি বিভাগের তত্বাবধানে। সূর্য মুখি থেকে তৈল আর ভুট্রা থেকে মানুষের খাবারের পাশাপাশি সবুজ অংশ থেকে পশুখাবার তৈরী করা যায়। যাহা বন্যার সঙ্কটময় সময়ে পশুখাবারে সহায়তা হবে।
পতিত জমিতে উৎপাদনে উৎসাহের অনুপ্রেরনা কৃষকের মনে আরও বৃদ্ধি পাবে এ চিন্তাথেকে ইউএনও তাহমিলুর রহমান এই বগান সৃজন করেন। বর্তমানে ফুলের হাসি আর সবুজের সমারোহে হয়ে উঠেছে নয়নকাড়া সৌন্দর্য নিয়ে। রাস্তা থেকে বাগানটি দৃষ্ট কাড়ছে পথিকের। অনেকেই এক সময়ের আবর্জনাস্তুপে পরিত্যক্ত এই জায়গায় এলেই জ্বলে উঠে ক্যামেরার ফ্লাসলাইট। ফুলের সাথে নিজেকে মিশিয়ে আবদ্ধহন একই বৃন্তে। বাগানটি জানান দিচ্ছে শ্রম সময় আর ধৈর্যের মাধ্যমে উৎপাদনে আগ্রহী হলে সফলতার দ্বার হবে উম্মুচিত, কমবে বাজারমুখী নিত্যপণ্যের উপর নির্ভরতা, বাংলার সবুজ মাঠ দেবে সবুজ সোনা। এর পাশেই দীর্ঘ একটি লেক তৈরীর কাজ চলছে। যাহা শেষ হলে আবাসিক ও প্রশাসনিক এলাকা হয়ে উঠবে আরো মনোরম আকর্ষনীয়।