গোয়াইনঘাটে সবুজের বুকে হলুদের মাঠ
1 min read
সরিষা চাষ বাড়ছে: লক্ষ মাত্রা ৮৫০ মেঃটন
মোঃ আব্দুল মালিক :: ফিরে আসছে হারিয়ে যাওয়া সরিষা চাষ। ষাট বা সত্তরের দশকে সরিষা আর তিষির হলুদ -বেগুনী ফুলে মন মাতানো সৌন্দর্য নিয়ে ভরে থাকতো বিভিন্ন গ্রামের মাঠ। সেই দৃশ্য আবারও মাঠ ফিরে পাচ্ছে। প্রশাসন,কৃষি বিভাগের সহায়তায় কৃষকরা আবারও সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এবার ৭১৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে সরিষা। যেখান থেকে ৫ কোটি টাকার অধীক মূল্যর সরিষা উৎপাদনের আশাবাদী কৃষকরা।
গোয়াইনঘাটের পূর্ব-পশ্চিজাফলং সদর ইউনিয়নসহ অন্যান্য এলাকায় গত ২/৩ বছরে সরিষার আবাদ বাড়ছে। এর পিছনে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন, পরিষদ, কৃষিবিভাগ আর কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষিতে বিশাল প্রনোদনা প্রদান। গোয়াইনঘাট উপজেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রণী বলেন, ২০২১ সালে ৫৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। বর্তমানে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে ৭১৮ হেক্টর হয়েছে। এ বছর গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ৪৪৪ জন কৃষককে ৩ কেজি করে বীজ সহায়তা প্রদান করা হয়, কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় ১৯৫০ জন কৃষককে সরিষার বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়। এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৫৫টি প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে। এ বছর ৮৫০ মেঃটন সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী তিনি।
গোয়ইনঘাটে প্রতিকেজি ষরিষা ৭০/৭৫ টাকায় বিক্র হয় আর বীজ দেশীয় ১ শত টাকা। সেই হিসাবে গড়ে ৭০ টাকা কেজি হলে ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকার সরিষা উৎপাদন হবে। পূর্ব জাফলংয়ের নলজুরী, সদর ইউপির গড়রবন্দ, আলীরগ্রামের উনাই হাওরে এখন সবুজের বুকে হলুদের ঢেউ খেলা নয়ন কাড়ছে। বিকেল কিংবা সকালে মাঠের দৃশ্য হয়ে উঠে নয়নাভিরাম। সবজি কিংবা ধানের চেয়েও কম খরচে উৎপাদন হওয়ায় আর সরকারের অভূতপূর্ব সহায়তা প্রশাসন পরিষদ কৃষিবিভাগের প্রচেষ্টায় গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন মাঠে আবারও ফিরে আসছে সরিষার মনমতানো হলুদ ফুলের সমাহার।
কৃষিক্ষেত্রে গোয়াইনঘাট অতিথের চেয়ে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। সবুজ বিপ্লবে এগিয়ে আসা কৃষকদের শীত মওসুমে প্রয়োজন সেচ ব্যবস্হায় পানির সুবিদা, হালের ট্রাকটর, যাহা বোরো ফসল উৎপাদনে নিশ্চিত করবে কৃষকদের।