ইসলামি শক্তি ভেঙে দু’ভাগ করা মারাত্মক পাপ: উবায়দুল্লাহ ফারুক কাসেমী
1 min read
আবু তালহা তোফায়েল :: কেউ যদি মনে করে ইসলামি বা ধার্মিক কোনো অঞ্চলকে দুই ভাগ করে দিলে দ্বীনের অনেক বড় উপকার হবে, তাহলে তার থেকে বোকা আর কেউ না। যেভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানকে দুই ভাগ করে দেওয়া দৃষ্টিকটু ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষতি হবে বলে মনে করা যায়, ঠিক সে ভাবেই ইসলামি তাক্বতকে দুই টুকরো করে দেওয়াও দ্বীনের অনেক বড় ক্ষতি করা।
রেবাতে মিল্লাত পরিষদ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ইসলামের দৃষ্টিতে প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতি শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইতিহাসবীদ শায়খুল হাদীস উবায়দুল্লাহ ফারুক কাসেমী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে মুবাহ একটি কাজ। আবার এটা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম এরকম কোনো প্রমাণও নেই। কেউ যদি মনে করে নির্বাচনের মাধ্যমে উপকার হবে, তাহলে সে নির্বাচন করতে পারে। ‘নির্বাচন পদ্ধতি’ এই সিস্টেমের কারণে বর্তমানে আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও আঞ্চলিক কোনো সমস্যা ও ষড়যন্ত্রের সমালোচনা করা যায়। শুধরানোর একটা সুযোগও থাকে। সম্প্রতি সময়ে গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, নির্বাচন পদ্ধতি হচ্ছে বর্তমানে মন্দের ভালো। এটাকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে মাক্বসাদে পৌঁছা হারাম কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানদের মধ্যে সালিহিনদের পাল্লা তুলনামূলকভাবে ভারি ছিলো, ততক্ষণ আল্লাহ মুসলমানদের হাতে ক্ষমতা অর্থাৎ হুকুমত দিয়েছেন। এখন সালিহিনদের সংখ্যা কমে আসছে৷ ফাত্তান ও মুখোশধারী মুসলমানদের পাল্লা ভারি হয়েছে, তাই ক্ষমতাও চলে গেছে। আবারও যদি সালিহিনদের পাল্লা ভারি হয়, তাক্বতও ফিরে আসবে। তাই উচিত হলো নিজেকে, পরিবারকে, পাড়া মহল্লা-প্রতিবেশীকে সঠিক পথে পরিচালনা করা, সঠিক পথের দিশা দেওয়া। সবাই যদি নিজ নিজ এলাকাকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে পরিচালনা করতে পারি, অটোমেটিকভাবে ইসলামি হুকুমত কায়েম হবে। ক্ষমতা ফিরে আসবে৷
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় আয়শা সিদ্দিকা মাদ্রাসা মিলনায়তনে, মাওলানা মুখলিছুর রহমান ও মাওলানা মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মুফতি মুজিব ও কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুফতি খন্দকার হারুনুর রশিদ, মাওলানা মাহবুব সিরাজী, নূর আহমদ কাসেমী, মাওলানা বিলাল আহমদ, মাও. আব্দুল আজিজ ফারুকী, মাওলানা খলিলুর রহমান, সৈয়দ শামিম আহমদ প্রমুখ।