স্বধীনতার ৫১ বছর পর চিহ্নিত হলো গোয়াইনঘাটের পূর্ণানগর গণকবর
1 min read
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাকামী মনুষদের নির্মমভাবে হত্যাকরা স্হানটি গণকবর হিসাবে চিহ্নিত করতে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের দাবী ও সংবাদপত্রে অনেক লেখার পরও সংশ্লিষ্টরা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। ৫১ বছরের মাথায় স্বীকৃতি পেলো পূর্ণানগর গণকবর।
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে প্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলী দেয়া হবে এই গণকবরে।
গোয়াইনঘাটে স্বাধীনতার ৫১ বছরের মাথায় চিহ্নিত হলো পূর্ণানগর গণকবর। গোয়াইন নদীর পূর্ব পারে পূর্নানগর প্রামের আব্দুল মুতলিবের বাড়ির পশ্চিমে সংঘটিত হয় স্বাধীনতাকামী মানুষের উপর হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও এলাকার লোকজনের গণকবর চিহ্নিত করার দাবী ছিল দীর্ঘ দিনের। সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে অনেক প্রতিবেদন ছাপা হয়।
ইউএনও তাহমিলুর রহমান আশ্বাস দিয়েছিলেন গত ২৬ মার্চেই এই গণকবরে শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিবেন। অবশেষে তারই প্রচেষ্টায় নির্মিত হচ্ছে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ।
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে অন্যান্য গণকবরের সাথে পূর্নানগর গণকবরে শায়িত শহীদদের প্রতি পুষ্পিত বিনম্র শ্রদ্ধা প্রদান করা হবে সরকারীভাবে। চলছে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান কাজ। এলাকার প্রায় হাজরো মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার, সুশিল সমাজের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো।
এই স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষা ও প্রয়োজনীয় কার্যাদি পূর্নাঙ্গ করতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।