এই অন্তহীন দূর্ভোগের শেষ কোথায়?
1 min read
গোয়াইনঘাটের পিরিজপুর-সোনারহাট রাস্তা এ সপ্তাহে কাজ ধরা হবে: নির্বাহী প্রকৌশলী
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: গোয়াইনঘাটের পিরিজপুর-সোনারহাট রাস্তা মেরামত কাজ এক বৎসরেও শেষ করতে পারছে না এলজিইডি বিভাগ। অর্ধ গোয়াইনঘাটের যোগাযোগে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ আর জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিকল্প রাস্তা ছাড়া ব্রীজ নির্মাণ এলাকার মানুষের জন্য বাড়তি যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন উদাসীন।
গোয়াইনঘাটে যোগযোগ ব্যবস্থায় বিরাজ করছে শনির দশা।আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের অতিরিক্ত বাড়া আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোয়াইনঘাট-সালুটিকর রাস্তা ২০১৭ সালের শেষ দিকে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেষ হলেও বছর ঘুরতেই ভেঙ্গে যায়। গোয়াইনঘাটের পিরিজপুর সোনারহাট রাস্তা কলেজ থেকে ১৪৫০ মিটার মেরামত শুরু হয় চলতি বছরের প্রথম দিকে। কাজের ধীর গতি আর এলজিইডির সঠিক তদারকির অভাবে বন্যার ছোয়া লেগেই অনেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোটি টাকার বেশী ব্যায়ে মেরামত কাজ আর শুরু করেননি নিয়োজিত ঠিকাদর।
এলাকায় শুরু হয় রাস্তা মেরামতের দাবীতে আন্দোলন। সংশ্লিষ্টরা এক সপ্তাহের মধ্যে কাজের আশ্বাস দেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই না হওয়ায় সীমাহীন দূর্ভোগে লক্ষাধীক নরনারী। ৎ
জানা যায় রাস্তাটি বন্যার পূর্বাবস্হায় না আসা পর্যন্ত ঠকাদার কাজ শুরু করবেন না। ফলে এলজিইডি বিভাগ আর ই আরএমপির নিয়োজিত নারীদের দিয়ে কাজ শুরু করে,বিভিন্ন গর্তে বালু ভরাট করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন প্রায় ৫লক্ষ টাকার কাজ করেছেন তিনি। ঠিকাদর কাজ ধরবে।
–
সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে উনাই হাওরে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু হয় একই সময়। ষ্টীমিটে রাখা হয়নি কোন বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা। পরে কোনমতে একটি বিকল্প রাস্তা হলেও বর্ষায় অকেজো থেকে অর্ধ গোয়াইনঘাটের যোগাযোগ থাকে বিচ্ছিন্ন। প্রকৌশলী বলেন ঢাকা থেকে ষ্টীমিট কারা হয়েছে। ব্রীজের কাজ শেষের মেয়াদ আরও এক বছর বাকী রয়েছে। এলাকার জন সাধারণ মনে করেন শুষ্ক মওসুমে বিকল্প রাস্তা সঠিক ভাবে না হলে বর্ষাকালীন যোগাযোগ আবারও বিচ্ছিন্ন থাকবে।
যার কারণে শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন,ব্যবসা বানিজ্য রোগি পরিবহন ব্যহতসহ সকল প্রকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫০ হাজার টকার বালু বিকল্প রাস্তায় দিয়েছি,পরিষদ থেকেও দেয়া হয়েছ,উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার রাস্তার বিষয়ে আলাপ হয়েছে। রাস্তা বন্যাপূর্ব অবস্তায় এনে দিলে ঠিকাদার কাজ করবে, তিনি বলেন আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বারবার প্রকৌশলীকে তাগিদ দিচ্ছি।
সিলেটর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এনামূল কবীর বলেন, এই সপ্তাহেই ঠিকাদার কাজ ধরবে। বন্যাত্তোর এলজিইডি কত টকার কাজ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন কোন বিল ভাউচার পাইনি।
রাস্তাটি জনস্বার্থে বন্যার পরপরই ইউএনও যোগায়োগ উপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন,জনসাধারণ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা
করতে রাজী থাকলেও তাহা না হওয়ায় জনভোগান্ততী চরমে পৌঁছেছে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন।
বন্যাপ্রবণ গেয়াইনঘাটে রাস্তা মেরামতে প্রতি বছরই সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়িত হচ্ছে,তারপরও জনদূর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না। সঠিক তদরকির অভাব,বন্যা সহিষ্ণু রাস্তা নির্মানে উদ্যোগ না নেয়ায় রাস্তার একপ্রান্ত থেকে শুরু করা কাজ অপর প্রান্তে এসে শেষ হতে না হতেই ভেঙ্গে যায়। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়।আশ্বাসের পর আ্শ্বাস পেয়েও বিশ্বাস হচ্ছেনা জন সধারনের মেরামতে নামে সৃষ্ট জনভোগান্তীর শেষ কবে হব?