সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে কিসের সংলাপ, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর - Shimanterahban24
March 28, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper

সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে কিসের সংলাপ, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

1 min read

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে কোনো সংলাপ হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, যেকোনো দল চাইলেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশন রয়েছে। কোনো দল নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তারা পারবে। কোনো দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সামর্থ্য না থাকলে তারা পারবে না।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে ভাষণদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকেই বলেন ডায়ালগ করতে হবে, আলোচনা করতে হবে। কাদের সাথে? ওই বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া-সাজাপ্রাপ্ত আসামি, যারা গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে, তাদের সাথে? বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আছে। যাদের ইচ্ছা নির্বাচন করবে। আর নির্বাচন করার মতো শক্তি যদি কারো না থাকে, তারা হয়তো করবে না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করবে, তারা ভোট দেবে।

আর ভোট চুরি তারা মেনে নেয় না। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের জনগণ আন্দোলন করে মাত্র দেড় মাসের মাথায়, ৩০ মার্চ তাকে টেনে ক্ষমতা থেকে নামায়। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়। কাজেই এই ভোটচোরেরাই ভোট চুরি করতে জানে। কিন্তু আমাদের মেয়েদের আমি বলব, ভোটের অধিকার সকলের। যেকোনো নির্বাচনে আমাদের মহিলারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে। তারা তাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করবে। ’

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মহিলাদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা থাকার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ, সব জায়গায় মেয়েদের কোটা রাখা আছে। সেখানে আমাদের নারীরা সরাসরি নির্বাচন করতে পারে, কোটাতেও করতে পারে। সে সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি। কাজেই আমরা নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ’

তিনি আরো বলেন, ‘২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়ায় এবং বাংলার মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে জন্য শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনাও সরকার করে দিয়েছে। এখানে মা-বোনদেরও দায়িত্ব আছে। আপনারা রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে আপনাদের অধিকার নিয়ে কাজ করবেন এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবেন। ’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমও বক্তৃতা করেন। কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রাজিয়া নাসরিন শোক প্রস্তাব পাঠ করেন এবং এর পরই সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এরআগে বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.