বাংলাদেশী আমেরিকান বিজনেস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে সিলেট চেম্বার সভাপতি তাহমিন আহমদের কুশলাদি ও মতবিনিময় সভা
1 min read
শফিক রহমান (ভয়েস অব মিশিগান ইউএসএ) :: গত ২৬ সেপ্টেম্বর, সোমবার রাত ৯টায় হ্যামট্রামিক সিটির কনান্ট রোডের আলাদিন রেষ্টুরেন্টে বাংলাদেশী আমেরিকান বিজনেস এসোসিয়েশন অব মিশিগান ইউএসএ আয়োজিত বাংলাদেশ থেকে আগত সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও নির্বানা ইন হোটেল-এর পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তাহমিন আহমদ এর সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই বাবাম এর নেতৃবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তারই সাথে বাবাম এর পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বাংলাদেশী আমেরিকান বিজনেস এসোসিয়েশন অব মিশিগান ইউএসএ-এর সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস তালুকদার-এর উপস্থাপনায় ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন আহবাব, শামীম, মোহাম্মদ জামান, মইনুল হক। উপস্থিত সুধীবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মিশিগান স্টেইট আওয়ামীলীগের সভাপতি ফারুক আহমদ চান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সহ সভাপতি লায়েস উদ্দীন, গোলপগঞ্জ সমিতির সভাপতি হেলাল খান, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ড্রেস এর সভাপতি মোহিত মাহমুদ, বকুল তালুকদার, কুলাউড়া সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সাবেক সভাপতি জুবেরুল ইসলাম চৌধুরখোকন ও জকিগঞ্জ সোসাইটি অব মিশিগানের সাবেক সভাপতি কাজী এবাদ প্রমুখ।
বক্তারা তাদের এই সুপরিচিতজন ও ব্যাবসায়ীকে পেয়ে আবেগে
আত্মহারা হন ও তারা তাদের বিগত দিনের স্মৃতিচারণ করেন ও আগামীতে মিশিগানে বেড়াতে আসার
অনুরোধ জানান ও তার সাফল্যের প্রশংসা করেন।
চেম্বার সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আপনাদের সাথে
আমার বিগত দিনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। আপনাদের অতিথিয়েতায় আমি মুগ্ধ। আপনারা আজ আমাকে যে সম্মানিত করছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেইসাথে তিনি সকলের কাছে দোয়া ও কৃতজ্ঞতা জানান।
–
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২০টি দাবী পেশ করা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট ছয় লাইনে উন্নতিকরণ, বিদেশে সবজি জাতীয় পণ্য রপ্তানির জন্য ওয়ার হাউজ স্থাপন, বিমান ভাড়া কমানোসহ বিভি যৌক্তিক দাবী পেশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি একনেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশাকরি পর্যায়ক্রমে সবগুলো অনুমোদন পেয়ে যাবে।
মিশিগানে স্থায়ী কনসুলেট অফিস স্থাপনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একমত পোষণ করে বলেন, প্রায় অর্ধলক্ষ প্রবাসীরা এখানে বসবাস করছেন কিন্তু এখানে কোন স্থায়ী কনসুলেট অফিস স্হাপন হলে মানুষ দ্রুত সেবা পাবে ও তাদের কষ্ট লাগব হবে। তিনি মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ করবেন বলেও জানান ও আমি আশা করছি তিনি এ ব্যাপারটি সুদৃষ্টিতে দেখবেন।
পরিশেষে তিনি সকলের সুস্থ ও নিরাপদ জীবন কামনা করেন। ও আপনাদের সরব উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সফল ও সুন্দর হয়েছে জেনে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
বাবাম এর সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আপনাদের সরব উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সফল ও সুন্দর ও প্রাণবন্ত হয়েছে জানিয়ে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এতে মিশিগানের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।