ভাঙছে গোয়াইন নদীর দু’কূল: হুমকির মুখে বজার, সরকারী অফিস, ফসলী জমিসহ বসতবাড়ি
1 min read
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: গোয়াইন নদীর ভাঙগনে উভয় পারের জনপদ, সরকারী অফিস, বাজার, ফসলী জমি পড়েছে হুমকির মুখে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরী উদ্যোগ প্রয়োজন।
গোয়াইন নদীর পূর্ব-পশ্চিম উভয় পারে ভাঙগন ঠেকাতে জরুরী উদ্যোগ না নিলে আসছে বর্ষা মওসুমে রয়েছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা।
উপজেল সদর শিববাড়ি থেকে লেঙ্গুড়া পর্যন্ত নদীর পশ্চিম পার হচ্ছে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। সরকারী অফিস, হাটবাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডাকবাংলো নদী তীরবর্তী থকায় প্রতি বছরই ভাংগনের ঝুঁকি বাড়ছে। টিএন্ডটি অফিস রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে।
অপর পারে পূর্নানগর পূরাতন জামে মসজিদ,করবস্থান অনেক অংশ নদী গর্ভে হয়েছে বিলীন। পূর্নানগর গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন গত ৩০ বছর সময়ের মধ্যে। ঝুঁকিতে আরও অসংখ্য পরিবার।
পূর্নানগর থেকে কৈয়া খাল হয়ে ডৌবাড়ি পর্যন্ত একটি মাটির রাস্তা হয়েছিল অনেক পূর্বে যাহা রক্ষনা বেক্ষণের অভাবে প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। উক্ত রাস্তা নদী তীরবর্তী হওয়ায় ফসলী জমি ভাঙগনরোধে সাপোর্ট ছিল।
বর্তমানে নদী ভাঙগনে হুমকির মুখে ফসলী জমি। পাহাড়ি ঢল, বণ্যা আর অতিবৃষ্টি গোয়াইনঘাটের জনপদ ফসলী জমিতে প্রতি বছরই রেখে যায় তান্ডবের চিহ্ন।
–
নদী ভাঙগন রোধে সদর থেকে লেঙ্গুড়া পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা পরিষদে রেজুলেশন করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করা হয়ছে বলে জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ।
তিনি বলেন খাটিরাই রাস্তায় পরিষদের পক্ষ থেকে দুলক্ষ টাকাসহ গ্রামবাসীর টাকায় কাজ হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান নদীর উভয় পার রক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হবে সময় লাগেব।
জনসাধারণের প্রত্যাশা গোয়াইন নদীর ভাঙগনরোধে শুষ্ক মওসুমে ব্যবস্থা নিয়ে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র হাটবাজার, সরকারী অফিস, ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আন্তরিক হবেন।
ফেইসবুকে- সীমান্তের আহ্বান
টুইটারে- সীমান্তের আহ্বান