গোয়াইনঘাটের আলীরগ্রামের উনই হাওর গ্রামের মানুষের জীবন জীবীকার উৎস
1 min readআব্দুল মালিক :: গোয়াইনঘাটের আলীর গ্রামের উনাই হাওর এখন যেন এক দিকবিস্তৃিত সবুজের সমারোহ। শুধু উনাই নয়, মুক্ত আকাশের নীচে দু’শত বিঘের বেশী জমিতে আলীরগ্রামবাসি মানুষের দিবারাত্রী শ্রমের বিনিময়ে শীতকালীন নানা সবজি আর ফসলের সবুজ হাসিতে হৃদয় ছুয়ে যায়।সরিষা, গম, ভূট্রা, ফরাস, আলু, বেগুন, টমেটো, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, তরমুজ, শশা কোন কিছুরই কমতি নেই। “কৃষি দিবানিশি” নামে একটি প্রজেক্ট পরিচালনা করছেন শিক্ষক পরিতোষ চন্দ্র দেব। তার আওতায় রয়েছে ষাট বিঘে জমিতে শীতকালীন নানা সবজিসহ,গম,বাদাম নাগামরিচ, সরীষা, ধনিয়া, ফুলকপি, বাধাকপি ও সীমের বিশাল বাগান। ৬ লক্ষ টাকার বেশী ইতি মধ্যে বিনিয়োগ করেছেন তিনি। শশা, লাউ, করোলা ও বেগু্ন লক্ষাধীক টাকার বিক্রিও হয়েছে,যদিও আশ্বিনে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি ও উৎপাদন পিছিয়ে দিয়ে গেছে। আধুনিক কৃষি ক্ষেত্রে দক্ষ এই শিক্ষক কৃষি উৎপাদনে এলাকার মডেল হিসাবে দেখছেন কৃষকরা। তাকে অনুকরণ করে উনাই হাওরে নেই আজ পতিত জমি। আলীর গ্রামের দু’ শতাধিক পরিবার এখন উৎপাদননে নিমগ্ন। পরিতোষ দেব জানান প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে পুরো মওসুমে এই মাঠ থেকে অর্ধ কোটি টাকার বেশী বিক্রি আসবে এমন আশা করছেন। এছাড়া গ্রামবাসির পরিশ্রমে এই হাওর দিয়েছে সবুজ সোনার সন্ধান।ফসল উৎপাদনে শীতের হীমেল রাত কাঠে ফসলের মাঠে। পরিবার পরিজনের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা অর্জনে,দেশে উৎপাদন বৃদ্ধিতে চলছে বিরামহীন প্রচেষ্টা।তাদের আাশা রবি মওসুম ও বোরে ফসলের মাধ্যমে দু কোটি টাকার বাড়তি উৎপাদন হবে যদি আল্লাহ সহায় থাকেন। আর কৃষিতে সব ধরনের পরামর্শ সহায়তা দিচ্ছেন সরকারের কৃষিবিভাগ।কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আলীসহ সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ দেখছেন, দিচ্ছেন পরামর্শ। বৈশ্বক করোনা মহামারীর এই ক্রান্তিলগ্নে শ্রমীক কৃষক ঝুকে পড়েছেন কৃষিতে। যেখানে বিনিয়োগ অনেক বেশী প্রয়োজন। কিন্তু সেই সামর্থ্য অনেকেরই নেই। উনাই হাওরের সবুজ সোনার সন্ধানে গ্রামবাসি কৃষক শ্রমিক এগিয়ে এলেও উত্তোলনে সরকারের সকল সহযোগিতা প্রয়োজন। সেচ, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ব্যাবস্হা হলে আলীরগ্রামের এই উনাই হাওর দেশের খাদ্য উৎপাদনে রাখবে এক অনন্য অবদান। সবুজ বিপ্লবে সূচীত হবে আরো এক নবদিগন্তের।