পুলিশ সদস্যের নির্যাতনে মৃত্যু : দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি নিহতের পরিবারের
1 min read
পুলিশি নির্যাতনে রিকশাচালক নাজমুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রংপুর মহানগরীতে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আধাবেলার ব্যাটারিচালিত অটো-রিকশা-ভ্যান ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ধর্মঘটে যোগ দিয়ে নাজমুলের স্ত্রী সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত হাসান, তার স্ত্রী ও দালাল কাদেরের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
দেখা গেছে, ভোর থেকেই নগরীর শাপলাচত্বর, বাস টার্মিনাল, লালবাগ মর্ডান মোড়, সাতমাথা, লালবাগ, জাহাজ কোম্পানি মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় অটোরিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ও চালকরা। তারা অটোরিকশা আসামাত্রই সেগুলো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। অনেক জায়গাতেই চাকার হাওয়া ছেড়ে দিতেও দেখা গেছে। ধর্মঘটের কারণে সকালে উঠেই চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসে যাওয়া ও কাজে যাওয়া যাত্রীরা। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ধর্মঘট শেষে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও ডিসির কাছে স্মারকলিপি দেয় আন্দোলনকারীরা।
সমাবেশে উপস্থিত নাজমুলের পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে শামীম বলেন, রিকশাটি যখন ছিনতাই হয়, তখন আমার বাবা মোবাইলে হাসান পুলিশকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু হাসান পুলিশ তার কথা না শুনে আমার বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আমি হাসান ও তার স্ত্রীর ফাঁসি চাই।
রংপুর রিকশাভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আকবর আলী জানান, আমাদের এই ধর্মঘট পালনে অটো রিকশাভ্যান চালক ও শ্রমিকরা সহযোগিতা করেছেন। পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়। পরের কর্মসূচির বিষয়ে আমরা সন্ধ্যায় বসে ঠিক করবো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।