March 20, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

সীমান্ত খুনের প্রতিবাদের পরিবর্তে মন্ত্রীরা ভারত বন্দনাতেই মশগুল: আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক

1 min read

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র সহসভাপতি আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী খুনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। কিন্তু সরকার এসব সীমান্ত খুনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ তো দূরের কথা, বরং সরকারের অনেক মন্ত্রী ভারত বন্দনায় মশগুল হয়ে আছেন। একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জনগণের জন্য এটা গভীর উদ্বেগ, হতাশা ও লজ্জার।

আজ (২৪ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক আরো বলেন, গত ২০০৮ সাল থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ১৩ বছরে জাতীয় পত্রপত্রিকা ও মানবাধিকার সংস্থার পরিবেশিত হিসাব মতে সীমান্তে বিএসএফ ৫৪৮ জন বাংলাদেশীকে খুন করেছে। সর্বশেষ গত ১৬, ২১ ও ২২ ডিসেম্বর লালমনিরহাট, খুলনা ও হালুয়াঘাট সীমান্তে বিএসএফ ৩ বাংলাদেশীকে গুলি করে খুন করে।

তিনি বলেন, এসব সীমান্ত খুনের ঘটনায় বর্ডার গার্ডের তরফ থেকেও পতাকা বৈঠক করে বিএসএফের কাছ থেকে লাশ গ্রহণ ছাড়া ভরসা রাখার মতো কোন তৎপরতাই চোখে পড়ে না। বরং কখনো কখনো বর্ডার গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসব হতভাগ্য নিহত বাংলাদেশীদেরকে চোরাচালানী বা অবৈধ মাদক ও গরুব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে প্রকারান্তরে বিএসএফের নিষ্ঠুরতার পক্ষেই যেন সাফাই গেয়ে যান।

আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, বিশ্বের কোথাও এমনটা আমরা দেখি না যে, কেবল অবৈধ সীমান্ত পারাপার বা চোরাচালানের জন্য মানুষ খুনের মতো নিষ্ঠুরতা ঘটে। ভারত-চীন বা ভারত-পাকিস্তান বর্ডারেও সীমান্তে এমন হত্যাকাণ্ডের খবর দেখা যায় না। সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীরা যে হারে পাখী শিকারের মতো নির্বিঘ্নে বাংলাদেশীদেরকে খুন করে চলেছে, বিশ্বে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমান্ত হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চিহ্নিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের তরফ থেকেই সরকারীভাবে বার বার বলা হচ্ছে, উভয় দেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজ করছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন ভারত সফরের পূর্বে উভয়ে দেশের সম্পর্ককে ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো’ বলে অভিহিত করেছেন। আরো এক ধাপ এগিয়ে চলতি বছরের ৮ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক’। চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক সুগভীর, বহুমাত্রিক ও রক্তের অক্ষরে লেখা। এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছেন, সীমান্ত হত্যায় ভারত একতরফভাবে দায়ী নয়। আমাদের কিছু দুষ্ট ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সীমান্তের ওপারে যায় এবং তাদের কাছে অস্ত্র থাকে। তখন ভারত বাধ্য হয়ে ভয়ে ওদের গুলি করে। এর কিছুদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু আনতে গিয়ে ইন্ডিয়ার গুলি খেয়ে মারা যায়, তার জন্য দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে না। গতকাল বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ। দুই দেশের এই সম্পর্ক কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশীদের পাখির মতো গুলি করে খুন করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা উল্টো পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী ভারত বন্দনাতেই মশগুল।

আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সমমর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে সুসম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদেরকে লাগাতার ভারত খুন করে যাবে, আর বাংলাদেশ সুসম্পর্ক রক্ষার জন্য চুপচাপ সয়ে যাবে এবং কার্যকর পদক্ষেপের পরিবর্তে সরকাররের মন্ত্রীরা ভারত বন্দনার জিগির তুলবে, আমরা এমনটা চাই না। আমরা চাই সরকার সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় তৎপর হোক, সীমান্তে নাগরিকদের জানমালের হেফাজতে বর্ডার গার্ডের জাওয়ানরা বীরের মতো ভূমিকা রাখুক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সীমান্তে যে কোন আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.