উইঘুরে মুসলিম নির্যাতন: ওআইসির কার্যকরী ভূমিকা চান মার্কিন মুসলমানরা
1 min readজিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের গণহারে বন্দি করে রাখা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হতে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন মুসলমানেরা। এ ইস্যুটিতে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে চীনে সংখ্যালঘুদের গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ আনা হচ্ছে এই বৈশ্বিক সংস্থাটির বিরুদ্ধে।
সাধারণত বিশ্বে মুসলমানরা নিপীড়নের শিকার হলে তার প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় ওআইসিকে। কিন্তু উইঘুর ইস্যুতে সংস্থাটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ৫৭ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওআইসির সদরদফতর সৌদি আরবে, ফিলিস্তিনিদের নিপীড়নে দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সমালোচনা ও কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মুসলমানদের হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে এর আগে।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ১০ লাখের বেশি উইঘুরসহ তুর্কিভাষী মুসলমানদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার নামে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। ইসলামিক সংস্কৃতিকে উৎখাত ও জবরদস্তিমূলক সমাজের সঙ্গে তাদের একীভূত করতে বন্দি রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। শূকরের মাংস খেতে বাধ্য করা এবং নারীদের বন্ধ্যা করে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া একটি প্রতিনিধি দলের সফরের পর ২০১৯ সালের মার্চের এক প্রস্তাবে ওআইসি বলছে, মুসলমান নাগরিকদের প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের তত্ত্বাবধান চেষ্টার তারা প্রশংসা করছে। এ বিষয়ে কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসসহ মার্কিন মুসলমান সংস্থাগুলোর একটি জোটের অভিযোগ, চীনা শক্তির কাছে ওআইসি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি উইঘুর নির্যাতনকে নাৎসি জার্মানির সঙ্গে তুলনা করেছে চীনের সঙ্গে বৈরিতা বাড়তে থাকা যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ওআইসির নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি। এছাড়া চীনের সমালোচনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান।