“মিডিয়ার সাথে কথাবলা যাবে না”; গোয়াইনঘাটে ডায়রিয়া বেড়েই চলছে
1 min read
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: গোয়ইনঘাটে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই ১০/১২জন ভর্তি হচ্ছেন। আক্রান্তের মধ্যে বেশীর ভাগই শিশু। ডায়রিয়ার তথ্য দিতে কর্তৃপক্ষের বারণ রয়েছে বলে জানান নার্সরা। রয়েছে চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট।
গোয়াইনঘাটে ডায়রিয়া পরিস্থিতি বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে বিরাজ করছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বশী। শুক্রবার বিকেল ৪টায় হাসপতালের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ডায়রিয়াক্রান্ত দুধের শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় সময় পার করছেন অভিভাবকরা।
ওয়ার্ডে নেই কোন আবাসিক মেডিকেল অফিসার। ডায়রীয়াক্রান্ত কতজন রোগী ভর্তি আছেন জানতে কর্তব্যরত সেবিকা কক্ষে গেলে তারা বলেন মিডিয়ার সাথে কথা না বলতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছ। পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেবাঃ নাম্বারে ফোন দিলে ডাঃ শ্রাবন্তী বলেন নার্সিং ইনচার্য এই তথ্য দিতে পারবেন। কিন্তু কোন তথ্য পাওয়া য়ায়নি। স্বাস্হ্য প্রশাসক থাকেন সিলেট। ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় বলেশ্বর গ্রামের হারুনের দেড় বছরের শিশু মাহিব,আলীর গ্রামের মতিনের এক বছরের মেয়ে সাফা,লাঠির ছোয়াব আলীর ৮ মাসের শিশু সজিব,সাইদুর রহমানের ৬ মাসের শিশু হাফজুর রহমান দক্ষিন প্রতাপপুরের ৯মাসের শিশু দেলোয়ারের ছেলে আব্দুল্ল্যাহ, উপর সাতাইন গ্রামের আমির উদ্দিনের শিশু ছেলে বোরহান (১) গুরকচি গ্রামের মোশাহিদের ছেলে রোম্মান (১০মাস) যাত্রাভা গ্রামের লোকমানের দুই মাসের শিশু মাহিম শুক্রবার ভর্তি হন।ভর্তি অনেক রোগিরা জানান ওয়ার্ডে দুরগ্ন্ধময় পরিবেশ বিরাজ করছে, শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি, এখানে সুস্হ্য মাুনুষও আক্রান্ত হবার উপক্রাম হয়েছে।নেই আর এমও। স্বাস্হ্য প্রশাসক থাকেন সিলেটে। অনিয়ম অব্যবস্হাপনায় জনসেবা হচ্ছে বিঘ্নত। শনিবার সকাল ৭ টায় ভর্তি হন কেন্দ্রাপার গ্রামের খয়রুন নেছা (৩০)।একই পরিবারের সায়বান বেগম(৬০) ১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এবং লামাসাতাইন গ্রাৃমের ১ বছরের শিশু ওয়ার্ডে মারা যায়, একদিন পূর্বে বাড়িতে মারা যায় ঐ শিশুর ৬ বছর বয়সী বড় ভাই তবে চিকিৎসকরা বলছেন অন্য রোগে ওয়ার্ডে দুজন মারা গেছেন। হসপাতালে শুধু বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ৮জন ডায়রিয়া রোগি ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেলেও এ বিষয়ে তথ্য দিতে চান না সংশ্লিষ্টরা। হাসপতালে নেই শিশুদের স্যালাইন পশিংসেট মাইক্রোবুরেট। বাজারে তার দাম ১৫০/২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। পূর্বেএলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদূর্ভাব হলে স্বাস্হ্য বিভাগ বাড়ি গিয়ে সেবা দিত, স্বাস্হ্য বিষয়ে পরামর্শ দিত, বর্তমানে এ বিষয়ে বিভাগটি রয়ছে উদাসীন। মাওঃ হেলাল বলেন হাসপতালে চিকিৎসকরা আাসেন সকাল সাড়ে১০/১১টায়। ১টা বাজার সাথে সাথে তাদের চেম্বারে চলে যান, এলাকার জনসেবা নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নেই, প্রধান ডাক্তার স্বাস্হ্য প্রশাসক নিজেই সিলেটে থাকেন যদিও তিনি কর্মস্থলে অবস্হান করার কথা, যার ফলে হাসপাতালে বিরাজ করছে অনিয়ম অব্যনস্হাপনা।গোয়াইনঘাটবাসি জন সাধারনের স্বাস্হ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।