বিপুলসংখ্যক চীনা ট্যাঙ্কে ভর্তি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী - Shimanterahban24
March 31, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

বিপুলসংখ্যক চীনা ট্যাঙ্কে ভর্তি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী

1 min read
সীমান্তের আহ্বান

পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক বোধগম্য। চীনের প্রয়োজন ছিল তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য এই অঞ্চলের একটি মিত্র। আবার পাকিস্তানের প্রয়োজন অস্ত্রের বিদেশী চালান, অস্ত্র প্রযুক্তি, বিশেষ করে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক অবনতি হতে থাকায় পাকিস্তান-চীন প্রতিরক্ষা সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ হয়েছে। নিচে বর্ণিত দুটি চীনা সূত্র থেকে পাওয়া ট্যাঙ্ক চীন-পাকিস্তান অস্ত্র সম্পর্ককে ফুটিয়ে তুলছে।

আল জারার

আল-জারার ট্যাঙ্ক হলো চীনাদের টাইপ ৫৯ মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্কের পাকিস্তান-চালিত সংস্করণ। এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের টি-৫৪ ট্যাঙ্কের নকল।

২০০৩ সালে পাকিস্তানের সাথে চীনের অংশীদারিত্বের ফলে পাকিস্তানের চীনা আধুনিকায়ন করা টাইপ ৫৯ ট্যাঙ্কের আত্মপ্রকাশ ঘটে আল-জারার নামে। এতে এই ট্যাঙ্কের মোবিলিটি, ফায়ারপাওয়ার, আর্মার প্রটেকশন বাড়ানো হয়।

মূল ১০০ মিলিমিটার মেইন গানের স্থলাভিষিক্ত হয় ১২৫ মিলিমিটারর স্মুথবোর গান। এতে ফায়ারপাওয়ার বাড়ে। আধুনিক কম্পিউটারাইজড ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমও যোগ করা হয় টার্গেটে নিখুঁতভাবে আঘাত হানার জন্য। থার্মাল ইমেজিং সিস্টেমও যোগ করা হয়। এর ফলে আল-জারার টার্গেটে আঘাত হানার সক্ষমতা বেড়েছে।

এটি বেশ ছোট ট্যাঙ্ক, ওজন মাত্র ৪৪ টন। তবে এর ৭৩০ ডিজেল হর্সপাওয়ার ইঞ্জিনটি তাকে বেশ গতিশীলতা দিয়েছে। এতে ক্রু থাকে চারজন: একজন গানার, ড্রাইভার, লোডার ও কমান্ডার।

২০১৯ সালে কিছুটা খ্যাতি লাভ করে আল-জারার। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১২ হাজার ফুট ওপরে নিয়ে যায় আল জারার ট্যাঙ্ক। বলা হয়ে থাকে, এটি বিশ্বরেকর্ড।

আল খালিদ ১ ও ২

পাকিস্তানকে চীন যত এয়ারফ্রেম, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে, সবকিছুর মধ্যে সবচেয়ে জটিল হলো আল-খালিদ ট্যাঙ্ক।

এই ট্যাঙ্ক আল-জারারের চেয়ে বেশি মজবুত। ১৯৯০-এর দশকে চীনের সহযোগিতায় এর উন্নয়ন ঘটে। চীনের টাইপ ৯৯ মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্কের অনুকরণে এটি নির্মাণ করা হয়।

পাকিস্তানের মাটির উপযোগী করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। আল-জারারের মতো আল-খালিদেরও আছে ১২৫ মিলিমিটার স্মুথবোর গান।

অবশ্য ১,২০০ হর্সপাওয়ার ডিজেল ইঞ্জিন থাকায় এটি আল-জারারের চেয়ে কম গতিসম্পন্ন নয়। এই ইঞ্জিন তৈরী হয়েছে ইউক্রেনে।

সূত্র: ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.