নিরাপত্তাহীনতায় আমরা মুক্তিযুদ্ধা সন্তান কানাইঘাট উপজেলার সভাপতি; প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
1 min readমীম সালমান :: আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কানাইঘাট উপজেলার সভাপতি ও ৩ নং দিঘীরপার পূর্ব ইউপি আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইফতেখার আলম চৌধুরী বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসীদের হুমকিধামকি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ পাওয়া যায়।
জানা যায়: গত কয়েকদিন ধরে যে কোন একজন লোকের সাথে তার কিছুটা মনমালিন্যতা চলছে। এই জের ধরে ঐ লোক দিবালোকে সবার সামনে অকথ্য ভাষায় হুমকি দমকি দিয়ে যাচ্ছে। গত ২২/১১/২০২০ইংরেজি তারিখে রাত আনুমানিক নয়টার দিকে ইফতেখার চৌধুরী তার ফার্মেসী বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার রওয়ানা হলে এমন সময় চাচাতো ভাই বদরুল তাকে ফোন করে বলেন যে, কিছু লোক রাস্তায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বসে আছে আক্রমন করবার জন্য। তখন ইফতেখার চৌধুরী ভিন্ন রাস্তায় বাড়িতে গিয়ে প্রাণ বাচান।
ইফতেখার চৌধুরীর সাথে এ বিষয় যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা আজ আসলেই একদম অসহায়। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই, প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীদের রোষানলে সময় অতিক্রম হচ্ছে। তাই আমি এ মুহুর্তে সিলেটের ডায়নামিক মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মহোদয়, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব শামসুদোহা পিপিএম মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভিক্টিম ইফতেখার আলম চৌধুরীর বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার ৩ নং দিঘীরপার পুর্ব ইউপি’র পুর্ব দর্পনগর গ্রামে।
তার পিতা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা কমর উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন সাবেক সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার। এবং কানাইঘাট উপজেলার সাবেক বারবার নির্বাচিত কামান্ডার। একাদারে মৃত্যু আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কানাইঘাট উপজেলার সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন।
এদিকে ইফতেখার চৌধুরী’র ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দনা বাজারে। তিনি এ বিষয় দনা বাজারের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে অবগত করেন, পাশাপাশি ইফতেখার চৌধুরী অতি শীঘ্রই আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আশা করেন যে, যেহেতু মাননীয় প্রধানমত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিজ হাতে দেখাশোনা করেন, তাই তিনিও সঠিক বিচার পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।