সিলেট মহানগরীর কাজীটুলা এলাকায় নববধূকে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী
1 min readমীম সালমান ;; গতকাল রোববার রাত ১২টার আগে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে বলে ধারনা করছে সংশ্লিষ্টরা। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঘাতক স্বামীর নাম মো. আল মামুন। তার বাড়ি বরিশালের হোগলার চরে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তবে তার ভোটার আইডি কার্ডে ঠিকানা হিসাবে উল্লেখ আছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বারুতখানা এলাকার নাম। আর নববধূর নাম তামান্না বেগম (১৯)। তার পৈতৃক নিবাস এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার ফুলদি এলাকায়। তবে তারা বর্তমানে গোলাপগঞ্জ উপজেলার এমসি একাডেমি সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
নববধূর ভাই আনোয়ার হোসেন রাজা গণমাধ্যমে জানান, রোববার দিবাগত রাত ৯টার একটু আগে তার বোনের সাথে সর্বশেষ কথা বলেন তার মা। তখন কথাবার্তা ছিল স্বাভাবিক আর দশটা দিনের মতো।
সকাল থেকে তামান্না ও তার স্বামী আল মামুনের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি মামুনের আত্মীয় স্বজনের নম্বরও বন্ধ পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। দুপুরের দিকে পুলিশ নিয়ে এই দম্পতির কাজীটুলার অন্তরঙ্গ এ/৪ নম্বর ভাড়া বাসায় গিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান।
দরজা ভেঙে ভিতরে দেখেন বিছানায় তামান্নার লাশ। সংশ্লিষ্টদের ধারনা, গলায় কিছু পেঁচিয়ে ফাঁশ দিয়ে তামান্নাকে হত্যা করে তার স্বামী পালিয়েছে। গলায় তেমন দাগ আছে বলেও দেখা গেছে। আর মাথার কাছে পাওয়া গেছে খোলা একটা কেক।
উল্লেখ্য, পারিবারিক আয়োজনে টিনএজ তামান্নার বিয়ে হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর গোলাপগঞ্জের সানরাইজ পার্টি সেন্টারে। পাত্র আল-আমীন নগরীর জিন্দাবাজারের আলমারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্সের মালিক।
বিয়ের আগের দিন ২৯ সেপ্টেম্বর ঘাতক আলমামুন কাজীটুলার বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন।