চক্রান্তের মায়াজালের ফাঁদে আমরা
1 min read
[কাকলী আক্তার মৌ]
শয়তান যখন দেখল হযরত মোহাম্মদ (সঃ) পৃথিবীতে আগমন করেছেন তখন সে চিৎকার করে গলা ফাঁটিয়ে কেঁদেছিল।তার সেই চিৎকারের শব্দ কেউ শুনতে পায়নি;এই না পাওয়ার পিছনেও একটা কারণ ছিল।বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর আগমনে সারা বিশ্ব আনন্দিত হয়েছিল,সেই আনন্দের বিশালতায় শয়তানের সেই চিৎকারের শব্দ চাপা পরে গিয়েছিল।রাসূলের আগমনে শয়তানের শয়তানি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হল।হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর নবুয়াত প্রাপ্তির পরে যখন মানুষ দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করল তখন থেকে শয়তানের জন্য পৃথিবীটা ক্রমে ক্রমে ছোট হয়ে যেতে লাগল,কার্যক্রমও স্থবির হয়ে গেল।শয়তান আর একা পেরে উঠছিল না।তখন সে নতুন ভাবে,নতুন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করতে লাগল।এক সময় সে আবিষ্কারে সফলও হয়ে গেল।শয়তান তখন ইসলাম গ্রহণ করা ব্যক্তিদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি খোঁজে বের করার চেষ্টায় লেগে গেল;যারা শুধু মুসলমান হয়েছে,কিন্তু কজে কর্মে মুনাফিক (আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই)।
শয়তান তখন নতুন চিন্তা ধারা প্রবর্তন করে সিদ্ধান্ত নিল,এখন থেকে নিজের শয়তানির সাথে ঐ সকল লোককেও সুকৌশলে সংযুক্ত করবে ও কাজে লাগাবে,যারা নামে মুনাফিক।সেই ১৪০০ বছর আগে থেকে ঐ একটা পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করে চলেছে,আর তা হল মুসলমানদের ভিতর থেকে কিছু নামধারী মুসলমানকে (আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই) খোঁজে বের করা এবং ঐ সকল লোক দিয়ে কৌশলে ইসলামের ক্ষতি করা। যেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে দিয়ে;যদিও শয়তান আজ পর্যন্তও সফল হতে পারেনি,পারবেও না,ইনশাহআল্লাহ।
কিন্তু আফসোস,বর্তমান সময়ের পৃথিবীতে উবাইদের মত লোকের যত্রতত্র ছড়াছড়ি।তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে ইসলামের রীতিনীতির বিরুদ্ধাচরণ করে কৌশলে ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করে চলেছে,যদিও তারা জানে যে,তারা কখনো সফল হবে না তবুও চেষ্টা করে চলেছে; প্রাণ-পণে। ইহুদিদের মতই ঐ সকল মুখোশধারীরাও অনেক অনেক ভয়ানক ও ক্ষতিকারক।তারা কাগজে নোটের বিনিময়ে এমন সব শিরিকী কাজ করে চলেছে;শুধু তাই নয় অন্যকেও করানোর চেষ্টা করে চলেছে যা ধর্মীয় রীতি-নীতি ও দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ বেমানান।ঐ সকল লোক এতটাই সুচতুর ও কৌশলী যে,স্বার্থের আঘাতে নত হতেও দ্বিধা করে না,ক্ষমা চাইতেও পিছ পা হয় না।স্বার্থ ও বিপদ থেকে উদ্ধার হলেই যেই লাউ সেই কদু হয়ে যায়।
আমরাও কত বোকা যে,ঐ সকল ব্যক্তিদেরই অন্ধের মত অনুসরণ করে যাই;যদিও আমাদের একমাত্র অনুসরণীয় ব্যক্তি হওয়া উচিত হযরত মোহাম্মদ (সঃ)।যাকে অন্ধের মত অনুসরণ করলেও কোন ক্ষতি নেই;বরঞ্চ বেশি লাভ।অথচ আমরা কি করছি?
আমরা এমন সব ব্যক্তিকে অনুসরণ করছি,যারা শয়তানকে অনুসরণ করে,শয়তানকেই আইডল মানে।পক্ষান্তরে সহজ ভাষায় বললে,“আমরা অজান্তেই দুনিয়াবী ব্যক্তিকে আইডল মেনে অনুসরণ করি,ঐ সকল আইডল শয়তানকে আইডল মেনে শয়তানকে অনুসরণ করে;আর সেই সুযোগে শয়তান গোপনে-কৌশলে তার আবিষ্কৃত এজেন্ডা বাস্তবায়ণ করে চলেছে।শয়তানের ঐ এজেন্ডার কারণে আমাদের কি ক্ষতি হচ্ছে তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।যখন বুঝতে পারছি তখনি অবিবেচকের মত দ্বিধা-দন্দে পরে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছি।এতে আমরাই ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছি,শয়তান হচ্ছে উপকৃত।
এই মহা বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের এখন যা করতে হবে তা হল সব কিছু ধ্বংস হওয়ার পূর্বেই ও মুক্তির পথ খোঁজে বের করতে হবে।তবে এখানে উল্লেখ্য যে,আমি উক্ত সমস্যার সহজ একটা সমাধান খোঁজে পেয়েছি।সেটা হল,এখন থেকে আমি অতি আবেগপ্রবণ হয়ে দুনিয়াবী কোন ব্যক্তিকে (সেলিব্রেটি) আইডল মেনে অন্ধের মত অনুসরণ করব না।কারণ আমার একমাত্র আইডল হলেন বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)।যাঁকে অন্ধের মত অনুসরণ করলেও কোন ক্ষতি নেই;বরঞ্চ বেশি লাভ।আমার মতে,যে ব্যক্তি রাসূল (সঃ) কে অনুসরণ করবে না সে নিশ্চিৎ পথ ভ্রষ্ট হবে।দ্বীনের ধারা মোতাবেকও প্রতিয়মান হয় যে,পরিপূর্ণ মুমিন হতে হলে সার্বিক দৃষ্টি কোণে রাসূল (সঃ) কে অনুসরণ করতে হবে,তাঁর নীতি ও আদর্শকে আপন করে নিজের জীবনে স্থান দিতে হবে।
আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সঠিক বোঝ দান করেন,(আমিন)।
আমি ঘুমন্ত কবি,নির্বাক ছবি,
গবেষণার কলম থেকে-
Kakoli Akther Mou