প্রতিবছরের মতো এই বছরও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজের টিকেট পেটে স্থানীয়দের হয়রানি
1 min readমোঃ জাবেদ ইকবাল, টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি।।
কয়েক দিন আগে টেকনাফ- সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি মিলে, এই জাহাজের অনুমতির জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাসী কয়েক দফা আন্দোলন করেন এবং প্রত্যেক বাড়ি থেকে আন্দোলন খরচের টাকা ও দেয়, এর পর জাহাজ কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে সম্মান মিলতেছে না দ্বীপবাসীর, প্রতিবছর স্থানীয়রা নিজের পকেটের টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে ও হয়রানির শিখার হতে হয়, এই মৌসুমের শুরুতে জাহাজের টিকেট পেটে হয়রানির শিকার দ্বীপবাসী, এর সমাধান চাই দ্বীপবাসী ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের ছাত্র সমাজ,।
ঘাটে টিকিটের জন্য গেলে টিকিট নেই, টিকিট শেষ, পরে দিচ্ছি, ওভারলোড নিষেধ আছে ইত্যাদি নানান কথা বলে দ্বীপবাসীকে অধিকার বঞ্চিত করছে কিছু অসাধু লোক। আর এটার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী গরীব মানুষ ও মহিলারা।
দ্বীপবাসীকে মুখ দেখে টিকিট দেওয়া হয়, প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি দেখে টিকিট দেওয়া আর সাধারণ মানুষকে টিকিট নেই বলে দাম বেশি দিয়ে পর্যটকদের সব টিকিট বিক্রি করে দেওয়া অত্যন্ত অন্যায় ও জঘন্য অপরাধ।
দ্বীপ নিয়ে ব্যবসা করবেন আর দ্বীপের মানুষের অধিকার হরণ করবেন সেটা মেনে নেওয়া যায় না। সেন্টমার্টিন কেন্দ্রিক ব্যবসায় দ্বীপের মানুষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট প্রাপ্তি এটা অধিকার বা প্রাপ্য, কোন করুণা বা দয়াদাক্ষিণ্য নয়।
যখন ট্যুরিজম বন্ধের আয়োজন চলে তখন তো ব্যবসায়ীরা অদৃশ্য হয়ে যান, দ্বীপবাসী নিজেরাই আন্দোলন করে। আপনাদের ব্যবসার সুযোগ করে দেয়। এখন কেন অন্যায় করেন?
এই দ্বীপের কিছু নেতা, প্রতিনিধি ও প্রভাবশালী মানুষ আছে। যাঁদের জন্মগত লোভ, ছ্যাঁচড়ামি আর অহংকার বিদ্যমান। যথেষ্ট নাদানও বটে! একটু সম্মান পেলে দুনিয়া চোখে দেখে না। আর যদি একটু আধটু সুযোগ পায় তাহলে জগৎ ভূলে যায়। মাইস্যের অধিকারে তাদের কিচ্ছু যায় আসে না! নিজেরা ফ্রি টিকিট পাইলে তো হলো!
এখন ছাত্র সমাজের দাবি একটাই
এবং এর সমাধান চাই, সেভ দ্যা সেন্টমার্টিন ও দ্বীপবাসি।
দ্বীপবাসীর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতি জাহাজে ২০ টি করে আসন বরাদ্দ করতে হবে এবং নামমাত্র মুল্যে দিতে হবে।