ঘুমধুমে মানুষের দোরগোড়ায় বিট পুলিশিং সেবা
1 min readনুর মোহাম্মদ সিকদার :: বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের আমজনতার দোরগোড়ায় পৌছেছে বিট পুলিশিং সেবা। নানা শ্রেনীপেশার মানুষ পুলিশী সেবা পাচ্ছে বিনা খরচে।সময় বাঁচিয়ে বিভিন্ন সমস্যার আবেদন নিয়ে হাজির হচ্ছে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে নির্ধারিত বিট পুলিশিং কার্যালয়ে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেবা দিচ্ছেন বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উ-পপুলিশ পরিদর্শক জীবন চৌধুরী।
এ সেবায় সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা এসআই জীবন চৌধুরী জানান,আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি স্থানীয় পারিবারিক এবং সামাজিক সমস্যা রোধে সমঝোতায় আনা।তাতে মামলার সংখ্যা কমছে,মানুষ হয়রানী থেকে রক্ষা পাচ্ছে।তাই জনগণকে সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এ পুলিশিং সেবা চালু করা হয়েছে। অপরদিকে জনগণ বিট পুলিশিং সেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে বলে স্থানীয়রা এ প্রতিবেদককে জানান।
পুলিশের আইজিপির নির্দেশে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৫ ইউনিয়নে ৫টি বিট পুলিশিং সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সপ্তাহে ২দিন করে বসছেন বিটের ইনচার্জ এসআই জীবন চৌধুরী। তাকে সহায়তা করার জন্য থাকছে একজন এএসআই ও তিনজন কনস্টেবল এবং তার পাশাপাশি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বার এবং গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,ঘুমধুম ৪নং ওয়ার্ডের এক নির্যাতিত মহিলার পক্ষে গিয়েছিলে মাহমুদা বেগম নামের এক বয়বৃদ্ধা মহিলা। তিনি জানান বিট পুলিশিং কার্যালয়ে এসে ইনচার্জ জিবন চৌধুরী’র আচরণ এবং সৌজন্যতাবোধ আমাকে মুগ্ধ করেছে তাহার পরামর্শে আমার আরর্জির বিষয়ে সন্তোষ জনক সমাধের পথে এগিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, বিট পুলিশিং সেবাই পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ছে। ইতিবাচক দিক বয়ে আনছে। এমনও মানুষ রয়েছে, যারা থানায় যেতে ভয় পান,অর্থের অভাবে যেতে পারে না। তাদের জন্য এই সেবা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে। পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং,বাল্যবিয়ে, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সব অপরাধপ্রবণতাও কমে আসছে।
ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান,বিট পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করাই গ্রামে সাধারণ মানুষ সেবা পাচ্ছে।মিথ্যা অভিযোগের বহু হয়রানী থেকে রক্ষা পাচ্ছে।যাতে কোন মানুষ মিথ্যা অভিযোগের মামলায় হয়রানীতে না পড়ে পুলিশ সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে।এক কথায় জনগণের দোরগোড়ায় আমরা পুলিশী সেবা দিয়ে যাচ্ছি।পাশাপাশি মাদক নির্মুলেও ভুমিকা পালন করছে পুলিশ।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, বিট হচ্ছে একটি ছোট এরিয়া। এটি উন্নত দেশে পরিচালিত পুলিশিং সেবা। জাপানে এই সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। ওই দেশের অনুকরণ করে পুলিশের আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)-এর নির্দেশনায় এ কার্যক্রম চালু করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে বিটের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সপ্তাহে ২দিন নির্দিষ্ট এলাকায় জনসাধারণের পাশে থেকে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক ছোটখাটো সমস্যা, চুরি, ছিনতাই, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, দাম্পত্য বিরোধ, সামাজিক বিবাদ, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।এমন পুলিশিং ব্যবস্থা চালু থাকলে পর্যাক্রমে অপরাধ প্রবনতা অনেকটা হ্রাস পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওসি আলমগীর হোসেন।অপরদিকে ঘুমধুম ইউনিয়ন বাসীর প্রত্যাশা, বিট পুলিশিং ব্যবস্থা যেনো আগামীতে আরো সাধারণ মানুষের পক্ষ হয়ে কাজ করবে।