কানাইঘাটে কলেজ ছাত্রের গায়ে আগুন
1 min readকানাইঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার(৭ নভেম্বর) উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের স্থানীয় সুরমা বাজারে ওই ছাত্রের গায়ে আগুন দেয় বখাটে যুবক দেলওয়ার।
জানা যায়, বড়চাতল পূর্ব (বাকুড়ি) গ্রামের বাসিন্দা সিলেট মদনমোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবু হানিফের (২০) গায়ে একই গ্রামের বখাটে যুবক দেলওয়ার হোসেন আগুন ধরিয়ে দেয়। সন্ধ্যা আনুমানিক ছয়টার দিকে আবু হানিফ নিজ মোটর সাইকেলে স্থানীয় সুরমা বাজারের কবির মিয়ার তেল পাম্প থেকে পেট্রোল লোড করছিলেন। এ সময় পাশে থাকা বখাটে যুবক দেলওয়ার হোসেন দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে আগুন ধরিয়ে গাড়িতে ছুড়ে মারে। এতে সাথে সাথে গাড়ি ও চালক হানিফের গায়ে আগুন ধরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রুত গাড়ির আগুন নিভিয়ে ফেললেও গাড়ির বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। হানিফের গণ্ডদেশ ও কানসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সিলেট উসমানি মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। অপরদিকে বখাটে যুবক দেলওয়ার দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এদিকে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীর স্বজনরা।
ঘটনার স্বীকার দগ্ধ হানিফের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এটাকে হত্যা চেষ্টা বলে উল্লেখ করে বলেন, ওই বখাটে দেলওয়ার আগে থেকেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো এমন পরিস্থিতির। গাড়িতে তেল ভরার সময়ই সে আমার উপর আগুন ছুড়ে মারে। উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় বেঁচে গেছি, হয়তো বা আরও খারাপ কিছু ঘটতে পারতো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বখাটে দেলওয়ার হোসেন একই গ্রামের দিলাল মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় সুরমা বাজারের মোটর সাইকেল চালায়। দগ্ধ আবু হানিফও অনিয়মিত মোটর সাইকেল চালক। যাত্রী কমে যাওয়ার ঈর্ষায় এই ঘটনা সূত্রপাত বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইতোপূর্বে দেলওয়ার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হানিফের গাড়ির ইঞ্জিনে একাধিকবার বালি ও চাকায় লোহা প্রবেশ করায়। একাধিকবার এসব অপকর্ম করার পর সে প্রকাশ্য ধরা পড়ে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপসে মিটমাট হয়ে যায়। চূড়ান্ত বিচার না হওয়ায় আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। দেলওয়ারসহ তার পরিবার এলাকায় ব্যাপক প্রভাবশালী হওয়ায় নারী কেলেঙ্কারিসহ একাধিক অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার খবরও পাওয়া যায়। দেলওয়ারের বড় ভাই নারী কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়ে জেলে ছিল কিছুদিন। পরে জামিন নিয়ে প্রবাসে চলে যায়।
প্রকাশ্যে আগুন ছুড়ে মারার এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এলাকাবাসি ও আহতের পরিবার দ্রুত এ জঘন্য অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।