নির্যাতনের শিকার সেই তরুণী হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন পৌর মেয়র
1 min readঅন্যদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী ওই তরুণীর সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পি (২৯) গ্রেপ্তার হলেও অপর তিন আসামী বাপ্পির বন্ধু রহিম, আরমান ও সাগরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ভুক্তভোগী ওই তরুণী ও তাকে আশ্রয় দেয়া চাচার পরিবারের সদস্যদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় নিজ কর্মস্থল জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় পেট্রল পাম্পের সামনে থেকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে তার সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পি সহ চারজন মিলে চোখ-মুখ চেপে ধরে ৩০ কিলোমিটার দূরে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে বাপ্পির বাড়িতে যায়। বাড়ির লোকজন ওইদিন এক আত্মীয়ের বিয়েতে যাওয়ার সুযোগে ফাঁকা ঘরে রাতে নেশা করে চারজন মিলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে তার মুখ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে তারা। রাতের কোনো এক সময় নেশাগ্রস্থ চারজন ঝিমিয়ে পড়লে ভোরে পালিয়ে চাচার বাড়িতে ফিরেন ওই নারী।
ছোট বেলায় বাবাকে হারানো মেয়ের এমন অবস্থায় দিশেহারা মা। বিয়ের পর দীর্ঘ চার বছর নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী তার শিশু সন্তানকে নিয়ে মাইজদীর হরিনারায়ণপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠলে সেখানেও তাকে মারধর করে সন্তানকে নিয়ে যায় বাপ্পি।
সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই তুর”ণী বৃহস্পতিবার রাতে তার সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পি, বাপ্পির বন্ধু রহিম, আরমান ও সাগরের বির”দ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই রাতেই বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইসমাইল হোসেন বাপ্পি কবিরহাট উপজেলার নবগ্রাম গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করার পর বিচারকের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বাকি তিন আসামীকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।