দ্বীনে ইসলামের ধারক ও বাহক পৃথিবীর জন্মকালীন থেকে কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থকবে; উবায়দুল্লাহ ফারুক
1 min readআবু তালহা তোফায়েল :: রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, দ্বীনে ইসলামের ধারক ও বাহক পৃথিবীর শুরুতেও ছিলো এবং কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে। পৃথিবীর কোনো শক্তি তাদেরকে থামাতে পারবে না। যত বড় শক্তিই ইসলামের উপর আঘাত হানবে, আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত কোনো ব্যক্তিই এই আঘাতকে সহ্য করে চুপ থাকবে না, সাথে সাথেই এর কঠোর জবাব দেবে।
আজ ০৭ নভেম্বর (শনিবার) সিলেটের জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদ্রাসার দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দ্বীনে ইসলামের হেফাজতে যুগে যুগে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আসমানী কিতাব ও নবী-রাসুলদের প্রেরণ করেছেন, সর্বশেষ হযরত মুহাম্মদ সা.কে কুরান মাজিদ দিয়ে প্রেরণ করেছেন এবং তার উপরই দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন। এরপর খুলাফায়ে রাশেদীনরা ইসলামের ঝাণ্ডা হাতে নিয়েছেন এবং পরিচালনা করেছেন। এমনকি ভারত উপমহাদেশেও ইসলামী হুকুমতে রাষ্ট্র পরিচালনা হতো। যখন ব্রিটিশরা ক্ষমতায় বসে তখনই ভারতকে দারুল হরব বলে ঘোষণা করা হয় এবং তাদের শাসনামলের প্রায় ৬০-৬২ বছর ইসলামী হুকুমত অনুযায়ী কাজির মাধ্যমে বিচার বিভাগ পরিচালিত হয়, এর পর থেকে ব্রিটিশ আইনে বিচার বিভাগসহ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম শুরু হয়। ইসলামী সঠিক আকিদাহ, খানকাহ, দরসগাহ, আমাদের পর্যন্ত পৌঁছলেও বিচারকার্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আমাদের হাত ছাড়া।
শায়খুল হাদীস উবায়দুল্লাহ ফারুক আরও বলেন যে, ব্রিটিশরা যখন তাদের আধিপত্য বিস্তার করেছে, তখন ভারতবর্ষের উলামায়ে হকদের উপর স্টিমরোলার চালিয়েছে। ইতিহাসবিদদের তথ্যনোযায়ী ৪০ হাজার এবং কারো কারো মতে ৮০ হাজার উলামায়ে কেরামকে হত্যা করেছে এবং বাদবাকি উলামায়ে কেরামদের উপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে দিয়েছিলো। আলেম শূন্য হয়ে পড়েছিল এই ভারত উপমহাদেশ। এদিকে তাদের খৃষ্টীয় শিক্ষা চালু করে মুসলমানদের মগজ ধোলাই দিতে মরিয়া পড়েছিলো, এমন ক্রান্তিলগ্নে দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করে তাদের মতো শক্তিশালী ক্ষমতাসীনদের হটিয়ে স্বাধীন করেছেন আমাদের উত্তরসূরীরা। আর আজকালকের ক্ষমতাসীনরা পূর্বের তুলনায় চড়ুই পাখির মতো, আর তারা ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে গলাবাজি করে, তারা কী কিছুদিন পূর্বের ইতিহাস জানে না? ইসলাম বিদ্ধেষী কার্যক্রম করবে আর আহলে হকরা চুপ থাকবে, এটা কাস্মীনকালেও সম্ভব না। সবসময় যত ধরনের ইসলাম বিদ্ধেষী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাইবে, প্রতিটি কাজে আহলে হকরা বাধা দিবে। কারণ দ্বীনে ইসলামের হেফাজতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ নিয়েছেন৷