খিরবেত হামসা গ্রামের ঘর-বাড়িগুলো গুড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল
1 min readইউরোপিয় ইউনিয়নের বাধার মুখে অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি গ্রাম গুড়িয়ে দিলো ইসরায়েল।
গত মঙ্গলবার খিরবেত হামসা গ্রামের বিপুল দালান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় সেনারা। এতে ৭৪ ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া তারা ১৮টি তাঁবু, টয়লেট, সোলার প্যানেল, পশুর খামার ও পানির পাত্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করেছে তারা।
এব্যাপারে বেসরকারি সংস্থা বি’ট্যাসলিম জানিয়েছে, গৃহহীনদের অর্ধেকই শিশু। তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ইসরায়েল মানব সৃষ্ট দুর্যোগ সৃষ্টি করছে। আবদুল ঘানি আওয়াদা বলেন, সেনারা বুলডোজার দিয়ে তার ঘর গুড়িয়ে দিয়েছে। এতে সময় লেগেছে মাত্র ১০ মিনিট। তাদের কয়েক প্রজন্ম এখানে বাস করছে।
বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে জর্ডান উপত্যকাটি ইসরায়েল দখল করে নিচ্ছে। তাদের যাওয়ার জায়গা নেই। জর্ডান উপত্যকায় ৬০ হাজারের মতো মানুষ বাস করে। ইসরায়েল বলছে, সেটা তাদের ফায়ারিং জোন। অবৈধভাবে সেখানে বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে ১২ হাজার ইসরায়েলি বসতি রয়েছে। ইসরায়েল ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনের ৫২টি স্কুল ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিয়েছে। এগুলোর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
ইসরায়েলের দখলদারিত্ব রুখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ সাত্তাহ। ইউরোপিয় ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার ইসরায়েলকে পশ্চিমতীরের বসতি ভাঙ্গা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, অনেক শিশু গৃহহীন হয়ে পড়েছে। দ্বিজাতি রাষ্ট্র সমস্যা সমাধানে এটা বাধা হবে। সূত্র: আলজাজিরা