রাসূল (সা.)এর অবমাননা মোকাবিলায় মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
1 min read
প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার, শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মুসলমানরা বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত থাকলে তাগুতি শক্তির মোকাবিলায় সফলতা অর্জন দুরূহ হতে পারে। যুগে যুগে উম্মাহ’র ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কাছে সকল অপশক্তির বদ উদ্দেশ্য বার বার পরাভূত হয়েছে। ইতিহাস তার সাক্ষী। সুতরাং ন্যায়, ইনসাফ ও সত্যের পক্ষে যে কোন আন্দোলন-সংগ্রামে সফলতা পেতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বাতিল শক্তি আমাদের আদর্শ ও স্বকীয়তাবোধকে বিনষ্ট করতে, আমাদের উত্তম কাজসমূহে কালিমা লেপন করতে এবং আমাদের দ্বীন-ধর্ম ও জাতি-সত্ত্বার মর্যাদাহানী করতে যুগে যুগে নানারূপে নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে এসেছে। বর্তমানেও তারা থেমে নেই। ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)এর মর্যাদাহানীর উদ্যোগ সেই অপচেষ্টারই ধারাবাহিকতা।
ড. আ ফ ম খালিদ আরো বলেন, বাতিল শক্তি কখনো ঐকবদ্ধ মুসলিম উম্মাহকে পরাভূত করতে পারেনি। ইতিহাস তার স্বাক্ষী। তাই তারা নানা রূপে, নানা বেশ ধরে, নানা কৌশলে আমাদের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস, সন্দেহ ও বিভ্রান্তিকর চিন্তার অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে এবং আরো নানা পদ্ধতিতে ঐক্য বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র চালায়। সুতরাং এ বিষয়ে উম্মাহ’কে সব সময় সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরিণ রাজনীতি ও সমাজ চিন্তার উপর জ্ঞান রাখতে হবে। সর্বোপরি যে কোন মূল্যে উম্মাহ’র ঐক্য ও পারস্পরিক সংহতি অটূট রাখতে হবে। আমরা সতর্ক ও এক থাকতে পারলে বাতিলের যে কোন ষড়যন্ত্রই সফলতা দেখবে না, নস্যাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আজ (৩ নভেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা জেলা কওমি মাদরাসা সংগঠন বুড়িচং পশ্চিম শাখা কর্তৃক আল্লামা আহমদ শফী (রাহ.) ও আল্লামা আশরাফ আলী (রহা.)এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন উপরোক্ত কথা বলেন।
মাওলানা জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা নূরুল হক, মুফতি হারুন ইজহার, মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানী ও মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
বুড়িচং শাহদিলার বাগ দারুল উলুম মাদরাসা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেন, মুসলমানদের পারস্পরিক দলাদলি ও বিভক্তির কারণে কুফরি শক্তি আগ্রাসী তৎপরতা চালানোর প্রয়াস । এহেন অবস্থায় নীরব থাকার সুযোগ লাভ।