জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ইউপি চেয়ারম্যান পদে লড়বেন বড়মোহা’র লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন
1 min readমুস্তাক আহমেদ রুমেন ;; আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ব্যাবসায়ী জনাব লুৎফুর রহমান খোকন সাহেব “সীমান্তের আহবানকে” জানান জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে তিনি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার অত্যান্ত একটি অবহেলিত ইউনিয়ন হলো আমাদের ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের মানুষের দুঃখের শেষ নেই! যেখানে মানুষের নেই কোন মৌলিক অধিকার, নেই কোন নাগরিক অধিকার! মানুষের নেই কোন উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা! শিশুকিশোরদের নেই উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা! যাতায়াতের জন্য নেই কোন ভালো রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা!!
স্বাধীনতার পর থেকে মানুষ নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বারবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি এই ইউনিয়নের মানুষগুলোর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ কিংবা উপবিভাগের নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য সফলতা আজ সর্বজন বিধিত। গতানুগতিক ধারার বাইরে একটি ইউনিয়নকে অল্প সময়ে মডেল ইউনিয়নকে রুপান্তরিত করতে হলে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন কিংবা প্রার্থীতার বাইরে আমার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে আমি মনে করি দেশের নাগরিকদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রধান এবং প্রথম দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। গত দুই নির্বাচনে অনেকেই আমার প্রার্থীতা আলোকপাত করেছেন। নির্বাচন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি আমার একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়, যাদের সেবায় আমি নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই তাদের মতামত এবং সচেতন তরুন সমাজ ও সম্মানিত মুরব্বিগণদের পরামর্শ নিয়েই আমার পথচলা অবশ্যই তাদের পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই যাই।
তিনি বলেন আমার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বাসী বিগত নির্বাচনে স্বতঃস্ফুর্তভাবে আমাকে ইউনিয়নের খাদেম হিসাবে মনোনিত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভাগ্য আমার সহায় না থাকায় আমি ইউনিয়নবাসীর আশা এবং ইচ্ছা পুরন করতে পারিনি এরজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
আমি ইউনিয়নের স্নেহ মমতা ভালোবাসার কাছে হেরেগেছি তাই আমার জীবনের বাকি সময়টুকু ইউনিয়নবাসীর খাদেম হিসাবে কাজ করতে চাই।
তিনি বলেন যে, সকলেই জানেন আমি শহড়ে থাকি এবং সেখানে আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তা রেখে ও আমি প্রতিটা গ্রামে দিন-রাত ঘুরে বেড়াই। আমি আমাদের অবহেলিত পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের সাধারন মানুষের চিন্তা ভাবনা ও এলাকার উন্নয়নের চিন্তা চেতনা মাতায় রেখে আমার ব্যাবসা প্রতিষ্টানের মায়া ত্যাগ করে ইউনিয়নবাসীর খাদেম হিসাবে কাজ করতে চাই, যদি ইউনিয়নবাসী আমাকে মনোনীত করেন । আমাকে নির্বাচিত করলে ইনশাআল্লাহ সর্বদা চেষ্ঠা করবো গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, রাস্থা-ঘাট নির্মাণে কোন প্রকার অবহেলা করব না। ইউনিয়নের সাধারণ জনগনের হক্ব নিজ হাতে সর্বদা তুলে দেওয়ার চেষ্ঠা করবো। প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশ্বস্থ কাজি দ্বারা কাজ করানোর চেষ্ঠা করবো।
আপনারা অবশ্যই জানেন যে, দীর্ঘদিন থেকেই নিঃস্বার্থভাবে আমি অসহায়-দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। তাদের হাত হাত রেখে, কাঁদে কাঁদ রেখে তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে দেবার চেষ্ঠা করছি। প্রতিটি ঈদে ঈদ সামগ্রী, রমযানের পূর্বে রামাযান ফুডপ্যাক, বন্যার সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতি পূরণ ও গরীব অসহায়দের বোন-ভাগিনির বিয়ের সময় আর্থিক সহযোগীতা, শীতকালে কম্বল বিতরণ সহ আমার সামর্থ অনুযায়ী সর্বদা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকি।
তাতে আমার কোন স্বার্থ নেই। এমন মনমানসিকতাও আমার ছিলো না। কিন্তু ইউনিয়নের দুরাবস্হা অবহেলা দেখে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তার আগে এইব্যাপারে আমার কোন উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিলো না।
বিগত নির্বাচনে অল্পের জন্য রিজাল্ট পক্ষে না আসায় এবার সাধারন জনগন আরো জোর দাবী জানাচ্ছেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য।
ইউনিয়নবাসী যদি মনে করেন যে, আমাকে দিয়ে ইউনিয়নের খেদমত এবং উপকার হবে, তাহলে ইউনিয়নবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা আমি চাই।