হেফাজতের ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে তৌহিদী জনতার ঢল
1 min read
ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবমাননার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-ঢাকা মহানগরীর ডাকে আজ সোমবার (২ নভেম্বর) ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে উলামা-মাশায়েখ, ছাত্র-জনতা ও তৌহিদী জনতার যেনো ঢল নেমেছে।
দূতাবাস ঘেরাওয়ের লক্ষ্যে অভিযাত্রা শুরুর আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী।

সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছন, প্রতিটি মুসলমান শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের ইজ্জত-সম্মান বজায় রাখতে কুণ্ঠিত হবেন না। ফ্রান্স সরকারের ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত দেশটির সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন করতে হবে। ইসলাম অবমাননাকারিদের মৃত্যুদণ্ডের জন্য জাতীয় সংসদে আইন পাশ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, মুসলিম উম্মাহ হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)কে নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন। রাসূল (সা.) সমগ্র মানব জাতির জন্য রহমত স্বরূপ দুনিয়াতে এসেছেন। ফ্রান্স সরকার নবীর সঙ্গে বেয়াদবি করে বিশ্বের দুইশ কোটি মুসলমানের অন্তরে আঘাত দিয়েছে। মুসলিম উম্মাহর কাছে ফ্রান্স সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করুন। অন্যথঅয় ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। তিনি দেশবাসীর প্রতি ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান।
আল্লামা কাসেমী বলেন, যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে, তাহলে আমরা আরো কঠিন আন্দোলনে যাবো ইনশাআল্লাহ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক, আল্লামা আবদুর রব ইউসুফী, আল্লামা জুনায়েদ আল-হাবিব, আল্লামা মামুনুল হক, অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিলসহ আর অনেকে।
সমাবেশে বক্তব্য শেষে দুপুর পৌনে ১টায় ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে তৌহিদি জনতার বিশাল সমাবেশ মিছিল নিয়ে দূতাবাস অভিমুখে রওয়ানা হয়। মিছিলটি বেইলি রোডের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে হেফাজতের নেতারা সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।