নাব্যতা সংকটে পদ্মা সেতুতে ৩৫তম স্প্যান বসানো হয়নি - Shimanterahban24
March 23, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

নাব্যতা সংকটে পদ্মা সেতুতে ৩৫তম স্প্যান বসানো হয়নি

1 min read

নদীতে নাব্যতা-সংকটের কারণে শুক্রবার পদ্মা সেতুতে বসানো হয়নি ৩৫তম স্প্যানটি। কবে নাগাদ এটি বসানো হতে পারে সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু বলতে পারছেন। সেতু নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রকৌশলীদের একটি সূত্র জানিয়েছেন, যে স্থানে স্প্যানটি বসানো হবে সেখানে এখন পানির গভীরতা অনেক কম। স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনটি সেখানে পৌঁছাতে পারবে না।

প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, আপাতত ড্রেজিং করে পলি সরিয়ে নাব্যতা বাড়ানোর কাজ চলছে। ফলে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না ৩৫তম স্প্যানটি কবে সেতুতে বসানো যাবে। অবশ্য এই প্রকৌশলী আগামী রোববারের মধ্যে স্প্যানটি বসানোর ব্যাপারে প্রথম আলোর কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সূত্র জানায়, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সেতুর ৮ ও ৯ নম্বর পিলারে স্প্যানটি বসানোর কথা রয়েছে। আজ শুক্রবার এই স্প্যান বসানোর দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু, পিলারের কাছে নাব্যতা সংকট নিরসন না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আগামীকাল শনিবার ও পরশু রোববার স্প্যান বসানোর দিন ঠিক করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত গভীরতা না ফিরলে আরও সময় লাগতে পরে বলে জানানো হয়েছে।

স্প্যান ‘টু-বি’ বসানো গেলে সেতুর ৫ হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে। ৩৫তম স্প্যান বসানো হলে বাকি থাকবে ছয়টি স্প্যান। চলতি অক্টোবর মাসে তিনটি স্প্যান বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। আর বাকি আছে ৭টি স্প্যান বসানোর কাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে সব স্প্যান সেতুতে বসানোর কাজ শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘কিছুদিন আগেও ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের কাছে পানির গভীরতা ছিল ১৩০ ফুটের বেশি। কিন্তু, বর্তমানে পানি আছে প্রায় সাত ফুট। এমন পরিস্থিতি থাকলে স্প্যান বসানো সম্ভব হবে না। এর জন্য সেখানে খনন করে পলি অপসারণের কাজ চলছে। পলি সরিয়ে নাব্যতা বাড়ানোর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে স্প্যান বসানোর জন্য এখনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি।’ তিনি জানান, মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ অবস্থান করছে। এতে ফিটিং করা হচ্ছে ধূসর রঙয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে। রওয়ানা দেওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

সূত্র; প্রথম আলো। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.