মুফতি আব্দুল মুনতাকিম বাংলাদেশের অহংকার: জকিগঞ্জে মতবিনিময় সভায় বক্তারা
1 min readনিজস্ব প্রতিনিধি :: দারুল উলূম করাচী পাকিস্তানের সাবেক উস্তাদ, বৃটেনের জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুফতি আবদুল মুনতাকিম শুধু সিলেটবাসীর নয়, বরং সারা বাংলাদেশের অহংকার বলে মত ব্যক্ত করেছেন মুনশীবাজার মাদরাসার মতবিনিময় সভায় বক্তারা। সিলেটে প্রথম উচ্চতর গবেষণামূলক দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের খেদমতে অনন্য নযীর স্থাপন করেছেন তিনি। দীর্ঘ একযুগ কোনো রকম পদ-পদবী ছাড়াই জকিগঞ্জের মুনশীবাজার মাদরাসার জন্য মানুষের দারে দারে গিয়ে চাঁদা আদায় করে মুনশীবাজার মাদরাসাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেন তারা।
খলিফায়ে মাদানী, আল্লামা মামরখানী রহ. এর স্মৃতিবিজড়িত জামিয়া ইসলামিয়া ফয়জেআম মুনশীবাজার, জকিগঞ্জ, সিলেট-এর নাইবে মুহতামিম মাওলানা মুফতি আবদুল মুনতাকিম এর আগমন উপলক্ষে ২৯শে অক্টোবর ‘২০ঈ. বৃহস্পতিবার সকাল ১১ঘটিকার সময় জামিয়া কনফারেন্স হলে এলাকার সর্বসাধারণের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জামিয়ার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা মুক্বাদ্দাস আলী দা.বা. এর সভাপতিত্বে ও শিক্ষাবিভাগীয় প্রধান হাফিজ মাওলানা ফখরুযযামান ও হাফিজ মাওলানা আবদুল কারীম এর যৌথ পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাইখুল হাদীস মাওলানা আব্দুল মুসাব্বির আইয়রী।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেটস্থ কাজিরবাজার মাদরাসার মুহাদ্দিস হাফিজ মাও. মুফতি সিদ্দিক আহমদ চিশতি।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি মুফতি আবদুল মুনতাকিম একযুগের চেয়েও বেশী সময় থেকে এই জামিয়ার জন্য নিজের সময়, মেধা এবং শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন কোন পদ-পদবী ছাড়াই। বিগত চার বছর আগে শাইখুল হাদীস আল্লামা মুক্বাদ্দাস আলী দা.বা. একদিন তাঁকে মাদরাসায় আমন্ত্রণ করে নাইবে মুহতামিম এর দায়ীত্ব তাঁর কাঁধে অর্পন করেন। তিনি বিভিন্ন অপারগতা ও ব্যস্থতা দেখালেও আল্লামা মুহাদ্দিস সাহেব কোনোভাবেই তা মানেন নি। বরং তাকে সাহস ও দোয়া দিয়ে বললেন “এখন থেকে আরো সূদুরপ্রসারী চিন্তাধারা নিয়ে জামিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাও। ইনশাআল্লাহ এর ফলাফল উভয়জাহানে পাবে।” এরপর থেকে আল্লাহর রহমতে জামিয়ার সকল বিভাগ এগিয়ে যাচ্ছে। জামিয়ার পুরাতন ভবন জীর্ণশীর্ণ হয়ে যাওয়ায় নতুন একটি ভবনেরও বড় একটি অংশের কাজ ইতোমধ্যে তিনি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। ছাত্রদের মেধাকে বিকশিত করার লক্ষে ক্লাসের কিতাবাদী ছাড়া মিশর থেকে ১০লক্ষ টাকার কিতাবও ক্রয় করে এনেছেন। ছাত্ররা অধ্যয়ন করে আজ অনেক উপকৃত হচ্ছেন। তিনি আরো বলেন আল্লামা মামরখানী রহ. এর নেকনযর থাকার ফলে তিনি আজ বিশ্বনন্দিত ইসলামিক স্কলার হতে পেরেছেন। এটা কেবলই আকাবির উলামায়ে কেরামের দোয়া ও সুহবতের বরকতে।
৮নং কসকনকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ বলেন, আমার পূর্বপুরুষদের আত্মার সম্পর্ক ছিলো মুনশীবাজার মাদরাসার সাথে। আমিও সর্বদা জামিয়ার পাশে থাকার চেষ্ঠা করি । আমি ইন্টারনেটে প্রায়ই মুফতি আবদুল মুনতাকিম এর বয়ান শুনি। অনেক উপকৃত হই। অনেক সমস্যার সমাধান পেয়ে থাকি। আল্লাহ তায়ালা এই দ্বীনের খাদেমকে দীর্ঘজীবী করুন।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এম.এ.হালিম, সদস্য ইসলাম উদ্দীন, মেওয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মঞ্জুর আহমদ সালিম, জামেয়াতুল খাইর এর শিক্ষাসচিব মাওলানা হাফিজ আবদুল মুকতাদির, আতিকুর রহমান, সাবেক মেম্বার আব্দুস সবুর, মাস্টার শাহ আলম শাহীন প্রমূখ।