বাইশারীতের গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ভারী পাথর বোঝাই ট্রাক চলাচলে ধ্বসে গেল ৩ কিলোমিটার কার্পেটিং

মোহাম্মদ ইউনুছ ;; পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে গ্রামীন সড়কে দিয়ে। পাথর বোঝাই ৩০ টনের ভারী যানবাহন চলাচল করে প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধ্বসে গেছে এক বছর আগে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাইশারী টু নারিচ বুনিয়ার জন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির। কাজ শেষ করে এল জি ই ডি।

একই সড়কে চলমান বাকী কাজ শেষ করতে ভারী যানবাহন দিয়ে মালামাল বহন করায় সড়কটি ধ্বসে যায় এবং ফেটে চৌচির হয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের নজরে আসায় তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা ও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করেন। স্হানীয়রা।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায় উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক বাইশারী –নারিচবুনিয়া ভায়া বাকখালী সড়কটি । গত এক বছর আগে কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হয়। কিন্ত সড়কের বাকি অংশ কার্পেটিং করতে ভারী যানবাহন নিয়ে পাথর ও অন্যান্য মালামাল বহন করায় ৩ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক বিভিন্ন জায়গায় ধ্বস ও ফাটল দেখা দেয়। জনতার রোষানলে ৩০ টনের ১৩ টি ট্রাক বটতলী বাজারেে আনলোড করতে বাধ্য হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জব্বার, মোঃ হাবিব সহ অনেকেই জানান তাদের নিষেধ করা সত্বে ও টিকাকার ভৃট্ট ও মন্জুর তা কর্নপাত করছে না।তবে অন্যান্য টিকাদারা ভারী যানবাহনের মালামাল বাজারের পাশে খালাস করে হালকা যানবাহনে করে গন্তব্য স্থানে নিয়ে যায়।
ঠিকাদার জসিম উদ্দিন বলেন সড়কে ভারী যানবাহন ঢুকিয়ে সড়কে ধ্বসে যাওয় এবং ফেটে যাওয়ার বিষয়টি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট অবগত করেছেন। ঠিকাদার ভুট্টো ও মনসুরের নিকট এ বিষয়ে। মুঠোফোনে জানতে চাইলে তারা বলেন সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে যানবাহন চলাচলের জন্য।
ভারী যানবাহনের বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে।বলেন ১০ টনের ট্রাক নিয়ে মালামাল পরিবহন করেছেন।
গ্রামীন সড়কের উপর দিয়ে এত ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন ধ্বংস হয়ে পড়েছে বলে জানান সচেতন মহল।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম বলেন জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ভারী যানবাহন ঢুকিয়ে ধ্বংস করে দেয়ায় তিনি ও উদ্বিগ্ন। বিষয়টি কতৃপক্ষের নিকট অবগত করবেন।
ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোঃ আবুল কালাম জানান ঠিকাদার ভুট্টো ও মনসুর ইচ্ছে করে ভারী যানবাহন ঢুকিয়ে রাস্তাটা ধ্বংস করে দিয়েছে।নাইক্ষ্যংছড়ি এল জি ই ডি উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান তিনি সরজমিন পরিদর্শন করেছেন এবং উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট জানিয়েছেন। উক্ত সড়কটি পুনরায় নির্মাণ করা হবে।
এবিষয়ে বান্দরবান এল জি ইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান ধ্বসে যাওয়া এবং ফেটে যাওয়ার বিষয়টি অবগত রয়েছেন।
ঠিকাদার ঐ জায়গা গুলো পুনরায় ঠিক করে দিবেন। গ্রামীন সড়কে ১০ টনের অধিক মালামাল নিয়ে যানবাহন চলাচল করা যাবেনা বলে ও তিনি জানান। অপর দিকে। এলাকাবাসী সড়কের উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলকারীদের বিরুদ্বে আইন গত ব্যবস্থা সহ দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।