‘নমরুদের চুলকানি’
1 min read
[কাকলী আক্তার মৌ]
ওরে মুনাফিক,নাস্তিক;জাতে নমরুদে,
চিন্তা কেন তোর;তুচ্ছ ক্ষুদে?
প্রভু যদি না মানিস,থাক নীরবে,
খেয়ে দেয়ে বেঁচে থাক;সুখ-কলরবে।
মোর দ্বীন,তোর সনে;হতে পারে তুচ্ছ,
তবুও,মোর মনে;ইহা প্রাণ গুচ্ছ।
মান যদি নাহি দিবি;দিস নাহি তুই,
চিৎকারে না করিস;ঘেউ,কাই-কুই।
তুই থাক তোর মত,ছেড়ে চুলকানি,
বিজাতীর সনে নাহি;কর টানাটানি।
তোর কথা তুই মান;অন্যকে ছেড়ে,
ধর্মের স্বাধীনতা নাহি নিস কেড়ে।
হিন্দু-মুসলিম যদিও ভিন্ন,
ধর্মের দিক থেকে সকলেই মান্য।
স্রষ্টাকে মানে সবে;অন্তর বিশ্বাসে,
শ্রদ্ধায় নত হয়ে,দেহ প্রাণে;নিশ্বাসে।
নিজ নিজ ধর্মের করে সম্মান,
বেলা শেষে সবে যে;আদমেরই সন্তান।
ওরে মুনাফিক,নাস্তিক;জাতে নমরুদে,
চিন্তা কেন তোর;তুচ্ছ ক্ষুদে?
দেখে যদি চুলকানি উঠে সারা গায়ে,
দূরে সরে যা তুই;হাঁটি-হাঁটি পায়ে।
ধর্মকে মানে যারা;সুন্দর ভবে,
থাকিতে চায় তারা,প্রফুল্ল সবে।
কেউ করে ইবাদত,কেউ পূজনে,
সৃষ্টির সেরা জাতি;উঁচু ওজনে।
তবে কেন সদা তুই বাগড়া দিস,
শান্তি,সুখ,মান;সব কেড়ে নিস?
শ্রদ্ধায় কেন দিস;অগ্নিটা জ্বেলে,
বিশ্বকে করে দিস;অশান্ত তিলে।
নোংরা থাবা তোর;এখনি দে রুখে,
আস্তিক সবে থাক;শান্ত বুকে।
তোর যদি নাহি ভাল;লাগে কিছু তবে,
জঙ্গলে গিয়ে থাক;সুখ কলরবে।
আমি ঘুমন্ত কবি,নির্বাক ছবি
Kakoli Akther Mou