নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের  সোনাপুর জোনাল অফিসের প্রতারণায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ব্যাহত - Shimanterahban24
March 23, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের  সোনাপুর জোনাল অফিসের প্রতারণায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ব্যাহত

1 min read
নোয়াখালী প্রতিনিধি :: “শেখ হাসিনার উদ্যোগ ,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এ স্লোগানের উল্টো কাজ চলছে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাপুর জোনাল অফিসে। বস্তুত ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান ও দালালদের ইশারায় চলছে এ অফিসের ক্রার্যক্রম। ভিলেজ ইলেক্ট্রিশিয়ান ও দালালদের ঘুষ দেয়া ছাড়া নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ,নতুন মিটার পাওয়া,অতিরিক্ত বিল ভুল সংশোধন ,মিটার স্হানান্তর,অনলাইন আবেদন মিটার পাওয়া,আবাসিক ,বাণিজ্যিক ,যেন সোনার হরিণ।সুবর্ণচরে চরমজিদ গ্রামে  অাশ্রয়ন প্রকল্পে আবাসিক সংযোগ প্রত্যাশী মোঃ জাবের উদ্দিন বলেন,সোনাপুর বিদ্যুৎ অফিসে ২ ঘন্টা বসে থেকে অফিসের অনেক কর্মকর্তাকে জিঙ্গাসা করেও কোন তথ্য পায়নি,সহায়তা করতে কেউ এগিয়ে আসেনি।অবশেষে অফিসে আগত  পরিচিত এক ভিলেজ ইলেক্ট্রিশিয়ান দালালের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে বাধ্য হলাম। ঐ দালাল আমাকে আরো পরামর্শ দেয় যে,কাগজ বিভিন্ন টেবিল থেকে ঘুষ দিয়ে সাক্ষর করে নিয়ে আসবেন আপনি,তার পর ক্যাশ কাউন্টারে কিছু ঘুষ দিলে মিটার জামানতের টাকা গ্রহণ করবে ক্যাশিয়ার।আমি কাউকে ১ পয়সাও দেয়নি তাই, তালবাহানা শুরু করে,ওয়্যারিং পরিদর্শন  ইন্জিনিয়ার,জুনিয়র ইন্জিনিয়ার,ক্যাশিয়ার,ও পিয়ন।টাক দিলে মিলে তাদের দেখা, খুলে তাদের মুখ,চলে তাদের কলম.টাকা নেই মুখ বন্দ,শুরু হয় নানা তালবাহানা।এই কাগজ হবে না,ওটা আনুন,অমুক স্যার নেই,ক্যাশিয়ার ছুটিতে,ডিজিএম নেই ,কম্পিউটার অপারেটর নেই,অনলাইন আবেদন সার্ভার সমস্যা, অফিসে গেলে সাধারণ গ্রাককে এসব বাণী শুনতে হবেই।সুবর্ণচরে চরমজিদ গ্রামের ধর্মের স্বর ছেলে প্রদীপ কুমার মজুমদার জানান,আমি গত ৮/২৯/২০ ইং অনলাইনে অাবেদন করি একটি আবাসিক মিটারের জন্য, সোনাপুর জোনাল অফিসে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হয় ভিলেজ ইলেক্ট্রিশিয়ান দালালের  থেকে ওয়্যারিং পরিদর্শন রিপোর্ট নিয়ে।কিন্তুু ওয়্যারিং পরিদর্শন কর্মকর্তা থাকা স্বতেও দালালের নিকট থেকে রিপোর্ট নিতে হয় ভুক্তভোগী গ্রাকদের।ওয়্যারিং পরিদর্শন রিপোর্ট দেখার কাজ ওয়্যারিং ইন্জিনিয়ারদের,সেই কাজ দালালের মাধ্যমে অফিসে বসে করিয়ে নেন ওয়্যারিং ইন্জিনিয়ার।  প্রায় ২ মাস পার হলেও এখনো আমার মিটার অনুমোদন দেয়নি অফিস জানতে পারলাম।সব কাগজপএ ঠিক থাকলে ৭ কর্ম দিবসে মিটার প্রায়,বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাবহার করতে পারে গ্রাহক প্রচার প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ,চকচকে বিজ্ঞাপন অফিসে ঝুলানো দেখা যায় সোনাপুর জোনাল  অফিসের বিভিন্ন কক্ষে।দালালও ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না,প্রতারণার শিকার অফিস কর্মকতাদের তার নজীর আমি নিজেই।হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের ভূইয়া গ্রামের বাসিন্দা  সৈয়দ আহম্মদ ছেলে আবুল কালাম জানান,দোকান ঘরের জন্য বাণিজ্যিক মিটার সংযোগ নিতে অনলাইনে  আবেদন করে সকল কাগজপএ জমা দিয়েছি। ডুপ্লিকেট কপিও  অফিসে দেওয়া হয়েছে আজ ১ মাস হয়েছে।অনলাইনে যাছাই  করে জানতে পারি আমার মিটার না কি অনুমোদন হয়নি।গত ২২।৯।২০ তারিখে অনলাইনে মিটারের জন্য আবেদন করেন,চরবাটা গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন ছেলে মনির উদ্দিন,মাছুমা খাতুন,মিরাজ উদ্দিন,রাসেল সহ প্রমুখ।তারা বলেন নিয়ম অনুযায়ী  ৭ দিনে অফিস অনলাইন আবেদনের মিটার সংযোগ নিশ্চিত করে কিন্তুু  আজ ১ মাস হলেও এখনো মিটার পায়নি,আমরা সাধারণ জনগন নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেতে অফিস কর্মকতাদের নিকট জিম্মি।ঘুষ ছাড়া মিটার পাচ্ছি না আমরা সাধারণ জনগন।অফিস কর্মকতাদের মিথ্যা প্রচারণা, ও দালাল দ্বারা হয়রানীর শিকার প্রতিনিয়ত।গ্রাহকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম  বলায় মিত্র  বলেন গ্রাহক কে আমার নিকট পাঠান,এই কথা বলে আর কোন কথা সুযোগ  না দিয়ে তারাতারি  ফোন কেটে দেন।দীর্ঘ দিন যাবত সোনাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের কর্মকান্ড  ও দালালের দৌরাত্ম্যে  প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত  হচ্ছে বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ প্রত্যাশী গ্রাহকেরা।এই সমস্যা  নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.