ফ্রান্সে বর্ণবাদ ও ইসলামবিরোধী মনোভাব; এরদোগানের হুঁশিয়ারি
1 min read
ইসমাঈল আযহার: শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) গভীর রাতে ফ্রান্সের বার্লিনের একটি মসজিদে পুলিশি অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্ণবাদ এবং ইসলামবিরোধী মনোভাবের কারণে এ অভিযান চালানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
এক টুইট বার্তায় এরদোগান বলেন, আমি সকাল বেলা নামাজের সময় বার্লিনের মেভালানা মসজিদে পুলিশি অভিযানের তীব্র নিন্দা জানাই, যা স্পষ্টতই বর্ণবাদ এবং ইসলামবিরোধী নীতির কারণে পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করে বলেন, বিশ্বাসের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে ইউরোপ অন্ধকারের ভেতরে চলে যাচ্ছে।
এরদোয়ান জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপ- যাকে বহু বছর ধরে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতিক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, দুর্ভাগ্যক্রমে এমন একটি কাঠামোয় পরিণত হয়েছে যা আজ তার পার্থক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি পবিত্র মসজিদে অভিযান চালানোর কোনও কারণই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্ক বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া (বিদেশীদের সম্বন্ধে অহেতুক ভয়) এবং ইসলাম বিরোধী নীতির নিন্দা করে।
এদিকে ইসলামের প্রতি কঠোর বৈরি আচরণ করা ও ইসলামফোবিয়ায় ভোগা “এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পাগল হয়ে গেছেন, তার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেছেন এরদোগান।
“ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে ম্যাক্রোঁর এতো সমস্যা কী?” প্রশ্ন রেখে এরদোগান বলেন – এই মুহুর্তে তাঁর মানসিক চিকিতসা দরকার নয়ত তিনি মানবতার আরও ক্ষতি করে বসবেন।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় কায়সারী প্রদেশের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) এক মিটিংয়ে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এরদোগান আরও বলেন, এমন একজন উগ্র রাষ্ট্রপ্রধানকে কী বলা যেতে পারে যে তার দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু লক্ষ লক্ষ সদস্যদের প্রতি এভাবে বৈরি আচরণ করে? এমন ব্যক্তির সবার আগে মানসিক পরীক্ষা করা দরকার।