ধর্ষণের অভিযোগে মাওঃ রিয়াজুদ্দিন গ্রেফতার; বেরিয়েছে আসল রহস্য
1 min readমীম সালমান :: সিলেটের কানাইঘাটে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে গত ৮ অক্টোবর উপজেলার সোনাতনপুঞ্জি জামে মসজিদের রিয়াজুদ্দিন নামে এক ইমামকে আটক করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পরপরই সোস্যাল মিডিয়ায় খবরটি ছড়িয়ে পড়লে সর্ব মহল থেকে ক্ষোভ দেখা দেয়। কেউ কেউ তাকে জমিয়ত নেতা বলে ও রাজনৈতিক হিংসা জাহির করে। কিন্তু আসল রহস্য কি?,,,,,
ঘটনার সংবাদ আমাদের কানে ও চোখে সামনে আসার পর আমরা একদিকে প্রতিবাদ জানাই, অন্যদিকে আসল রহস্য খোঁজতে থাকি। ৮ অক্টোবর সকালে রিয়াজুদ্দিন গ্রেফতার হওয়ার পর বিকেরে কানাইঘাটে দেশব্যাপী ধর্ষণের বিরুদ্ধে ছাত্র জমিয়তের একটি মানববন্ধন ছিলো, সেই মানববন্ধন থেকে প্রশাসনকে বলা হয়েছিলো যে, রিয়াজুদ্দিন দোষী হলে শাস্তি দেয়া হোক আর নিরপরাধ হলে মুক্তি দেয়া হোক, যদিও রিয়াজুদ্দিন জমিয়তের কেউ নয়।
অবশেষে বেরিয়ে এলো আসল রহস্য,,,,,,,
কি সেই রহস্য? ,,,,,,,,,,
মাওলানা রিয়াজুদ্দিন যেই মসজিদে ইমামতি করেন, সেখাকার লোকেরা ষড়যন্ত্র করে তার আগের ইমামকেও বিদায় দেয়ার খবর পাশ্ববর্তী এলাকার লোকের ভালই জানা। সেই ইমাম বিদায় হবার পর সেখানে ইমামতিতে যান রিয়াজুদ্দিন। রিয়াজুদ্দিন প্রায় ৩ বছর সেখানে ইমামতি করার পর গত কয়েকদিন থেকে তাকে নিয়ে শুরু ধূম্রজাল। তাকে রাখা না রাখা নিয়ে হয়ে যায় দু’টি গ্রুপ। তার বিপক্ষের গ্রুপটি তাকে বিদায় করতে নানানরকম কৌশল অবলম্বন করতে থাকে! প্রতিটি কৌশলে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা তাকে হেনস্তা করতে শুরু করে! কখনো রাতে তাহার কামরার সামনে পায়খানা ছিটিয়ে দেয়, কখনো তার দরজায় চিঠি লিখে তাকে হুমকি দেয়! আবার কখনো রাতে জুতার মালা মসজিদে তার কামরার সামনে এনে রাখে! এসব কিছুর পরও যখন ইমামকে বিদায় করা যায়নি? তখন তারা আরো সহজ কৌশল অবলম্বন করে মসজিদের সানি ইমাম আব্দুল গফুরকে তাদের গ্রুপে ভিড়ায়। এবং শেষ পর্যন্ত রিয়াজুদ্দিনকে ধর্ষক বানিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে!!
তাহলে কল রেকর্ডিং কার?
হ্যা, এই প্রশ্নটা আপনাদের থাকতেই পারে, কারণ এই কল রেকর্ডিং শুনার পর থেকে আমাদের ও ভিশন খারাপ লাগছিলো, মনে হচ্ছিলো রাষ্ট্রীয় অনুমতি থাকলে রিয়াজুদ্দিনকে পাথর মেরে হত্যা করবো। এরকম ধারণা আমাদের ও ছিলো, বাট যখন ষড়যন্ত্রের গন্দ পাচ্চিলাম, তখন রিয়াজুদ্দিনের স্ত্রীর অনুরোধ আমরা ঘটনাটি তদন্ত করি।
যেই কল রেকর্ডিং আপনারা শুনেছেন এটা ছিলো মসজিদের সানি ইমাম ও যেই মেয়েকে দিয়ে ফাঁসানো হয়েছিলো সেই মেয়ের ফুফু নাজমা বেগমের। সানি ইমাম ও মেয়ের ফুফুকে দিয়ে নাটক সাজিয়ে ছিলো রিয়াজুদ্দিনের বিপক্ষের গ্রুপ! যেই নাটকটি সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়েছিলো। তবে এখানে ইমাম রিয়াজুদ্দিনের কোন কল রেকর্ডিং পায়নি স্থানীয় মহল্লাবাসী, রেকর্ড করা কলটি সানি ইমাম ও মেয়ের ফুফুর বলে জানায় এলাকাবাসী। এসকল ষড়যন্ত্র মহল্লাবাসীর কাছে যখনই বেরিয়ে এলো, ঠিক তখনই মহল্লাবাসী সানী ইমামকে কানে ধরিয়ে ওঠবস দিয়ে মসজিদ থেকে বিদায় করে দেয়, এবং এই নাটকের সাথে জড়িত আকমল হুসেন ও জসিমউদদীন নামে আরো দুজনকেও শাস্তি দেয় এলাকাবাসী।
এখন কিবলছে এলাকাবাসী বা কি পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা?,,,,,,,,,,,,,,,,
আসল রহস্য জানার পর এলাকাবাসী মসজিদে বৈঠক করে ষড়যন্ত্রকারিদেরকে শাস্তি প্রদান এবং সানি ইমামকে বিদায় করার পর তারা সাংবাদিক, গণমাধ্যম ও প্রশাসনের প্রতি জানিয়েছে যে, ইমাম রিয়াজ উদ্দিন হলেন একজন সহজ সরল ও নির্দোষ ব্যক্তি, তিনি দুষ্টদের পাল্লায় পড়ে ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছেন। তাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি যৌন নিপিড়নের ঘটনায় জড়িত নয় বলে তারা দাবি করে। পরিশেষে মসজিদের বারান্দায় দাড়িয়ে তারা সবাই ইমাম রিয়াজ উদ্দিনের মুক্তির দাবী জানিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রায় শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরিত একটি পত্র ইতিমধ্যে তারা প্রশাসনে প্রেরণ করেছ।