হবিগঞ্জে বৃটিশ সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কান্না কেউ শুনেনি; নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই - Shimanterahban24
March 27, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

হবিগঞ্জে বৃটিশ সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কান্না কেউ শুনেনি; নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই

1 min read

আশাহীদ আলী আশা :: বিশ্বের ২য় মহাযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী বৃটিশ সৈনিক ল্যান্স নায়েক ইন্তাজ উল্লা EX-L- Naik- আই ডি নং – 331281 তিনি মৃতের আগেও পেনশন- পেনশন করে শ্বাস- পশ্বাস ফেলে ছিলেন। শেষ – মেষ পেনশন না পাওয়ার কষ্ট নিয়েই মৃত হয় বৃটিশ সশস্ত্র বাহিনীর ল্যান্স নায়েক বীর মুুুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ উল্লার। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায়- বুক বেঁধে ছিলেন, সেই আশা পূর্ণ হয়নি অনাহারে -অর্ধাহারেই মৃত বরন করেছিলেন,১৯৯৫ ইংরেজী সালে হবিগঞ্জ জেলা সদরের পইল পশ্চিম পাড়া এলাকায়। ইন্তাজ উল্লাকে লামা পইল দালানহাটি কবর স্থানে দাপন করা হয়েছিল। ৪নং পইল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ৩ বারের মেম্বার বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ বাবর আলী জানান তাদের সুুখ- দুখের কথা।১৯৯৭ইংরেজী সালে বৃটিশ সেনাবাহিনী দপ্তর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দপ্তরকে বিশ্বে ২য় মহাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বৃটিশ সৈনিকদের পুনাঙ্গ তালিকার জন্য এক পরিপত্র দিলে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দপ্তর প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থানরত বৃটিশ সৈনিকদের তালিকা পন্নায়ন করে প্রেরনের জন্য পরিপত্র পাঠালে সেই তালিকায় ১৯৯৮ইংরেজী সালের তৎকালীন জেলা প্রশাসক, থানা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বৃটিশ সৈনিকদের নামের তালিকা করলে তখনও ইন্তাজ উল্লার নাম লিপিবদ্ধ হয় । ১৯৯৮ইংরেজী সালে বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা মৃত ইন্তাজ উল্লার সহধর্মিণী আরব চাঁনের নাম তাদের তালিকাভুক্ত করে , সাড়ে ৭ হাজার টাকা অনুদান দেন। বৃটিশ সৈনিক ইন্তাজ উল্লার পরিবার ৩ শতক ভুমিতে একটি মাটির কুঁড়ের ঘরে অতিকষ্টে অনাহারে – অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছে, ইন্তাজ উল্লার মেয়ে জরিনা খাতুন ও -আরেক মেয়ে সেলুয়া খাতুন তিনি পরার বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তারা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান আমাদের বাবা ইন্তাজ উল্লা একজন সেনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন । আমরা সহজ সরল মহিলা হওয়ায় এর কোন খবর রাখতে পারিনি এতে সরকারি কোন সুুুযোগ সুুুবিধা আমাদের ভাগ্য জুটেনি। নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, এমনকি একটু ভূমি, একবার একমুঠ ভাত খেতে পারলে ও আবার জুুুটেনি, অনাহারে – অর্ধাহারে কাটে তাদের জীবন। ইন্তাজ উল্লার পেনশনসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার দাবি জানান বৃটিশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর নিকট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.