কানাইঘাটে স্বামী-স্ত্রীকে নির্যাতন করলো একই পরিবারের সদস্যরা; থানায় মামলা
1 min read
কানাইঘাট প্রতিনিধি :: কানাইঘাট উপজেলাধীন লক্ষ্মীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নের এরালীগুল গ্রামের আশিক উদ্দিনের স্ত্রী মাহমুদা বেগম নামক এক নারীকে নির্যাতন করলো দেবর ও ভাসুর। স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে স্বামী আশিক উদ্দিনকেও পিঠিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিলো আপন ভাইয়েরা।
এঘটনায় নির্যাতিতা নারী মাহমুদা খাতুন বাদী হয়ে একই ফ্যামেলির মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুশ শহিদকে ১নং আসামি, ২নং আসামি কোকিলা বেগম ( নির্যাতিতার শ্বাশুড়ি) স্বামী মৃত আব্দুল হান্নান, ও ৩নং আসামি সেলিম আহম, পিতা আব্দুর রশিদ। এই তিনজনকে আসামি করে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিদের সর্ব সাং এরালীগুল।
মামলায় লিখিত অভিযোগে মাহমুদা খাতুন বলেন, আমি আমার স্বামী আশিক উদ্দিনকে নিয়ে পৃথক সংসার করি, কিন্তু আমার দেবর আব্দুস শহিদ ও ভাসুর সেলিম প্রায়ই সময় আমার স্বামীর সাথে ঝগড়া ফাসাদ করিতে থাকে। এ বিষয় আমি আমার শ্বাশুড়ি কোকিলা বেগমের কাছে বিচার প্রার্থী হইলে বিবাদীগণ আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এরই জের ধরে গত ১৬/১০/২০ তারিখ বিকেলে আমি আমার বাড়ির পশ্চিম পাশের জমি থেকে আমার পালিত ছাগলটি আনিতে গেলে তখন বিবাদীরা আমাকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি তখন তাদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি দিয়ে পিঠিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জখম করিতে থাকে। এসময় আমার শো-র চিৎকার শুনে আমার স্বামী এগিয়ে আসিলে তারা আমার স্বামীকে রড দিয়ে পিঠিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে বিবাদী আব্দুশ শহিদ আমার ঘরের দরজা-জানালা ঘরের উপরের টিন ভাঙচুর করে। আমি আমার আমার স্বামীকে নিয়ে বর্তমানে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছি।
উক্ত ঘটনা মিমাংসার জন্য স্থানীয় মুরব্বিদের অবগত করত: মুরব্বিরা বিষয়টি মিমাংসা করিতে ব্যর্থ হইলে আমি আদালতের শরণাপন্ন হই।
নির্যাতিতা নারী বলেন আমি আশাবাদী কানাইঘাট উপজেলা প্রশাসন এ বিষয় শক্ত ভুমিকা পালন করবে। এবং আমাকে ও আমার স্বামীকে একটি ন্যায় বিচার উপহার দেবে। কারণ আসামিরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সবসময় জড়িত, এমতাবস্থায় আমি আমার জীবন নিয়ে হুমকির সম্মুখীন আছি। এই মুহুর্তে প্রশাসনের সুনজর ছাড়া অন্য কোন পথ দেখছিনা আমি।