সুনামগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রকে হাত পা বেদে নির্যাতনে আটক ২
1 min readসুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রকে রুমে তালাবদ্ধ করে হাত-পা বেদে নির্যাতনের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পৌর শহরের মোহাম্মপুর মারিকুল কুরআন ওয়াসুন্না হাফিয়া মাদ্রাসার সুপার হাফিজ মাওলানা হাসান আহমদ দুলাল কর্তৃক শ্রেণী কক্ষের পাশের রুমে তালাবদ্ধ করে হাফিজি পড়ুয়া ছাত্রকে হাত-পা বেদে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত ও জখমপ্রাপ্ত করেছেন।
খবর পেয়ে আহতের পরিবার মাদ্রাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আহতের বাবা নুরুজ্জামান চৌধুরী থানায় অভিযোগ করলে মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে আটক করা হয়।
আহত ব্যক্তির নাম নাফিস জামান চৌধুরী (১৭)। সে জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের বিশ^না নোয়াগাওঁ গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাফিস জামান হাফিজি পড়া শেষ করে উস্তাদ হাসান আহমদ দুলালের কাছে শবক নিতে চাইলে তিনি অন্য জনের কাছে শবক নেওয়ার কথা বলেন। তখন ছাত্র নাফিস জামান উস্তাদ হাসান আহমদ দুলালকে শবক নেওয়ার কথা বল্লে তিনি উত্তেজিত হয়ে তাকে মারপিট করেন। পরে নাফিস জামান তার বাবাকে ঘটনা জানাইলে হাসান আহমদ দুলাল দুই শিক্ষক নিয়ে তাকে টেনে হেছড়ে অন্য রুমে তালাবদ্ধ করে ইচ্ছেমত মারধর করেন।
এ বিষয়ে মারিকুল কুরআন ওয়াসুন্না হাফিজিয়া মাদ্রাসার সুপার হাফিজ মাওলানা হাসান আহমদ দুলালের মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দেওয়ার পরও রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী নুরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমার ছেলেকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপার সাহেব বলেন আত্নীয় সজন কাউকে না জানিয়ে আমার অফিসে এসে বিষয়টি মিট করেন। নইলে আপনার ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে বাহির করে দেব।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে।