কৃষকরা অবহেলিত কেন?
1 min read
[জাহিদ হাসান এমাদ]
কৃষকের অবহিলিত এই কথাটি শ্রবণ হৃদয়ে অবলোকন হলেই যেন,হৃদয়ের মেমুরিতে সংরক্ষিত ভালোবাসা আগুনের মতো জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে কষ্টের হাহাকারে রূপ ধারণ করে বসে। আমি জাতির কাছে প্রশ্ন করতে ইচ্ছুক, আমাদের এই সবুজ সোনালী দেশে প্রায় ৭০-৮০ ভাগ মানুষই কৃষি কাজে নিয়োজিত আছে, ছিলো ও ভবিষ্যতেও থাকবে এই সৌন্দর্য পূর্ণ কৃষি সম্পদে ফসল অনুসন্ধানী কৃষকবৃন্দ। তাই বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলের করণীয় কৃষকদের অবহেলা না করে তাদের হৃদয়ে ফসল উৎপাদনের চেতনা জাগ্রত করতে সকলের প্রতি অনুরোধ, আহ্বান মোর তরফ থেকে।
আশা করি অনুরোধ গ্রাহ্য হবে আপনাদের তরে।
কৃষকদের প্রতি ভালোবাসার আগুয়ানে স্যামক অবগত কামোচ্ছ্বাস বা প্রয়াস পাত্তয়া।ইনশাআল্লাহ ভালো লাগেবে
___________________________________________________
একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এখানকার শতকরা পঁচাশিজন লোক নির্ভর করে কৃষির ওপর। বাকি পনেরো জন মাত্র শিল্প, ব্যবসায়, চাকরি ইত্যাদি কাজে নিযুক্ত। সুতরাং বাংলাদেশ কৃষকের দেশ একথা বললে হয়তো কিছুমাত্র অত্যুক্তি হয় না। কারণ, তারাই বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। অথচ, ভাগ্যের এমনই নির্মম পরিহাস, এদেশে কৃষকরাই সর্বাধিক অবহেলিত এবং তাদের অবস্থাই সবচেয়ে বেশি শোচনীয়
অন্যদিকে এদেশের যাবতীয় সম্পদ অর্জিত হয় কৃষির মাধ্যমে। কৃষির সাহায্যেই আমরা আমাদের খাদ্যশস্য, শাকসবজি, ফলমূল ও তরিতরকারি উৎপাদন করি। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের প্রধান উৎপাদিত দ্রব্য হল শাকসবজি, ফলমূল ও তরিতরকারি উৎপাদন করি। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের প্রধান উৎপাদিত দ্রব্য হল পাট। পাট কৃষিজাত দ্রব্য; শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালও পাওয়া যায় এ কৃষিজাত দ্রব্য থেকে। যে-বছর দেশে ভালো ফসল হয় সে-বছর দেশে অবস্থাও হয় সচ্ছল এবং যে-বছর দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, অনাহারে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সুতরাং এটা স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে এদেশের সমৃদ্ধি ও সচ্ছলতা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে কৃষির ওপর। অথচ আমাদের দেশে কৃষকেরা সবচাইতে বেশি বঞ্চিত, অবহেলিত ও অভাবগ্রস্ত। তাই কৃষকের উন্নতি না হলে দেশের সামগ্রিক উন্নতি কোনোদিন সম্ভব নয়
কৃষকের প্রতি সরকারের করণীয়:
এদেশ যখন কৃষিপ্রধান দেশ এবং কৃষিই যখন এদেশের প্রধান সম্পদ, তাই কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে আমাদের। তাদের অবস্থার উন্নতি করতে হবে। ভূমিহীন কৃষকদের ভূমি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষিঋণ যেন ঠিকমতো ভূমিহীন কৃষকদের হাতে পড়ে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষকদের কাছে স্বল্পমূল্যে সার ও কৃষিসরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। গ্রাম্য মোড়ল, ফড়িল, ফড়িয়া ও কিছু সংখ্যক অসাধু কৃষি বিভাগের কর্মচারীর হাত থেকে কৃষকের হাতে যেন কৃষি-সাহয্য ঠিকমতো পৌঁছায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই।
একদিন এই বাংলাদেশকে কবি কল্পনা করেছিলেন সোনার বাংলারূপে। আমাদের দেশে এখনও যে-সম্পদ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভূমির উর্বরতা আছে তাতে এদেশকে সত্যিই আমরা রূপায়িত করতে পারব সোনার বাংলায়। তবে পরিবর্তন করতে পারে যারা তারা হলো এদেশের কৃষক। তাই কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তিত হলে, কৃষির উন্নতি হলে, তবে এদেশ হবে সুন্দর, এদেশ হবে সত্যিকারের সোনার বাংলা।