মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু: চিকিৎসক
1 min read
নিউজ ডেস্ক :: সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের কারণে রায়হান নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে গত শনিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের পাশাপাশি তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরাও নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন।
এবার প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরও বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতনেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রায়হানের মরদেহ তোলা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিকেলে মরদেহ কবরস্থ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. শামসুল ইসলাম বলেন, অনেক বেশি নির্যাতন কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট আসলে আরো বিস্তারিত বলা যাবে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, ডিউটি শেষে রাত ১০টায় রায়হানের ফেরার কথা থাকলেও মধ্যরাত পর্যন্ত ফেরেনি। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ভোর ৪টা ২৩ মিনিটে একটি নম্বর থেকে (০১৭৮ ৩৫৬১১১১) কল করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে যেতে বলা হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফাঁড়িতে যাওয়ার পর বলা হয়, রায়হান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই আমার ছেলে মৃত।
এই ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আরো তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্তকৃত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদ। প্রত্যাহার করা তিন জন হলেন- এএসআই আশীক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন।