রামু-নাইক্ষ্যংছড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম চড়াও; দেখার কেউ নেই - Shimanterahban24
March 29, 2023

Shimanterahban24

Online News Paper


Warning: sprintf(): Too few arguments in /home/shimante/public_html/wp-content/themes/newsphere/lib/breadcrumb-trail/inc/breadcrumbs.php on line 254

রামু-নাইক্ষ্যংছড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম চড়াও; দেখার কেউ নেই

1 min read
পেয়াজ

মোহাম্মদ ইউনুছ :: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের রামু উপজেলার হাট বাজার গুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য জনসাধারণের নাগালের বাহিরে, দেখার কেউ নেই।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল,ডাল, শাক সবজি থেকে শুরু কর। অর্ধশতাধিক পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এসব এলাকার সাধারণ মানুষ। এ প্রতিবেদক রামু উপজেলার ফকির বাজার, কাউয়াখোপ বাজার,ঈদগড়, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া বাজার এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ছালেহ আহমেদ বাজার,ঘুমধুম, বাইশারী,সোনাইছড়ি ও দোছড়ি বাজারে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, আলু, পটল, পেঁয়াজ, পেঁপে, ঢ়েঁড়শ,বেগুন ও কাঁচা মরিচসহ অর্ধশতাধিক পণ্যের দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে ।
গত সপ্তাহের তুলনায় ৭০ টাকার পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা এবং আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা করে। তাই বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা যা আগের সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।বাজারে দেশীয় ভালো জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৭৫ টাকা ছিল। এই সপ্তাহে নতুন করে বাজারে আসা বড় আকারের পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। রামু সবজি বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, “শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বেশ চড়া। গত ৩-৪ দিন ধরেই সবজির দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবৃত্ত আয়ের মানুষ। নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারের তরকারী ব্যবসায়ী নুরুল আলম জানান আমরা ৩৭ টাকা করে পেঁপে কিনে এনেছি। এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকার নিচে বিক্রি করলে চলে না। একইভাবে ঢ়েঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে। পটলের দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে গেছে এই সপ্তাহে, বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকায়।একইভাবে তার দোকানে প্রতিটি লাউ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙার কেজি ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৫০-৩০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বেগুন,করলা ৬০ টাকা, তিত করলা ৭০ টাকা,বাধা কপি ৮০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এভাবেই চাল,ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাজার মনিটরিং না করায় অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি করায় ক্রেতাসাধারনের নাগালের বাহিরে চলে যাওয়ার অভিযোগ সচেতন মহলের।
বাজার করতে আসা হামিদ ও জয়নাল বলেন, “বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ পাওয়াই যায় না। ক্রস জাতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি আর দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা বা তার বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। গত মাসের শেষ দিকে বাজারে আকস্মিকভাবে খাবার তেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে বর্ধিত ওই দামেই থিতু হয়ে আছে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম। এর সঙ্গে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। “সয়াবিন তেলের দাম কমে আসবে বলে মাসের শুরুতে মনে হলেও তা এখন আর হচ্ছে না। চলতি সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫ টাকা থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা। গত এক মাসে ভোজ্যতেল লিটার প্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে।মুরগির মাংসসহ দুইএকটি পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতো রয়েছে বলে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য দেখে বাজার মনিটরিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.