গোয়াইনঘাটে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম; এলাকায় জ্বলছে ক্ষোভের আগুন
1 min readছবি: এডঃ জেবুন নাহার সেলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় বঞ্চিত প্রার্থীদের কয়েকজন।
আব্দুল মালিক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার এডঃজেবুন নাহার সেলিম, ও কোপার বাজার উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে ব্যায়াপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অশ্রয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত,দোষীদের আাইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে পৃথক পৃথকভাবে আবেদন জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট উন্নয়ন সংসদ ও জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
১২ অক্টোবর পরিষদের চেয়ারম্যান বরারবে দেয়া আবেদনে জানা যায় মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে এডঃ জেবুন নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিয়োগসাজসে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস,৩১ আগষ্টের পরিবর্তে ৩০ আগষ্ট সিলেটের একটি উচ্চবিদয়ালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ, যথা সময়ে প্রবেশপত্র না দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য বড় অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। একইভাবে উক্ত কর্মকর্তা উপজেলার কোপার বাজার মাধ্যমিক বিদ্যায়ালয়ে গ্রন্থাগারিক কামক্যাটালগার পদে যোগ্যতা নিরুপন না করে তাদের পছন্দের প্রার্থী নয়োগ দিয়েছেন যাহা শিক্ষিত সমাজ বিনির্মানে মানসম্মত শিক্ষার অন্তরায়। দুটি সংগঠনই অবৈধ নিয়োগ বাতিল,স্হানীয় প্রাার্থীদের মেধা ও যোগ্যতার বিত্তিতে নিয়োগ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। আবেদনে এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন গোয়াইনঘাট উন্নয়ন সংসদের সভাপতি এডঃ জামাল উদ্দিনসহ ২৪জন সদস্য এবং জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের পক্ষে সিনিয়র সহ সভাপতি এডঃ হাসান আহমদ।
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন এ ব্যাপারে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে,তারা তদন্ত করে শীঘ্রই প্রতিবেদন দিবেন। ইউএনও নাজমুস সাকিব বলেন আামি কোন অভিযোগ পাইনি, সরাদিন সভার কাজে রয়েছি এখনও অফিসে বসতে পারিনি।
এ দিকে পশ্চিম জাফলং ইউপির সদ্য এমপিওভুক্ত এডঃ জেবুন নাহর সেলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অন্তহীন অভিযোগ এলাকাবাসী, ব্যাক্তি,নিয়োগপ্রার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষার দিন ৩০আগষ্ঠ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মহাপরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে করে আসছেন, তাদের অভিযোগ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুকৌশলে অবৈধ কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগে নিজের হীনস্বার্থ হাছিল করে এলাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন যার কারণে এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এবং এলাকার যোগ্য মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে চাকুরী প্রাপ্তি থেকে। তারা বলেন নিয়োগ বোর্ডে ভারপ্রাপ্ত যে প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি নিয়োগ ছাড়া অবৈধ ভাবে দায়িত্ব নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন। দুর্নীতির কারণে সুকৌশলে এলাকার যোগ্য মেধাবীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।