রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত উপ-রেজিস্টারের নাম ব্যাবহার করে দুই নারীর বিরুদ্ধে কাগজাদী জালিয়াতির অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের
1 min read
মোঃ মাইনুর রহমান :: রাজশাহী মহানগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত বর জাহানুল ইসলামের পরিবার দুইজন নারীর বিরুদ্ধে ভোটার আইডি কার্ড,জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্র জালিয়াতির অভিযোগ আনেন।
অনু সন্ধানে জানা যায় যে,মৃত বরজাহানুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ রেজিস্ট্রার হিসেবে পি আর এ ল এ থাকাকালীন অবস্থায় হার্ট অ্যাটাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ /০২/২০২০ ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
অতঃপর মৃত বর জা হানুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র মোঃ সাজাহাণুল ইসলাম মনি গত ১৫/০৩/২০২০ ইং তারিখে ওয়ারী- শান সনদ উত্তোলনের জন্য ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে গিয়া জানিতে পারেন যে, জনৈকা মোসা: হামিদা বেগম ও তার কন্যা নিজেদের মৃত বরজাহানুল ইসলামের ২ য় স্ত্রী ও কন্যা দাবী করেন এবং দাবিদার হিসেবে মোসা: হামিদা বেগম স্বামীর নামের স্থলে বরজাহানুল ইসলাম ব্যাবহার করেন এবং কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস পিতার নামের স্থলে বর জাহানুল ইসলাম ব্যাবহার করেন।উক্ত মাতা কন্যা তাদের ভোটার আইডি কার্ড,জন্ম নিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্টের ফটোকপি দাখিল করেন এবং মৃতার পেনশন সহ সম্পত্তির ভাগ চান।তখন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিবাহের কাবিননামা দাখিল করতে বললে কাবিননামা দাখিল ব্যর্থ হইয়া আড়ানী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর একটি প্রত্যয়ন পত্র দাখিল করেন।এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিবাহের প্রমাণ কি? কাবিননামা ছাড়া কি নিজেকে স্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়?
সাজাহানুল ইসলাম মনি ও তার মাতা মোসা:জোহরা বেগম জানায় তার স্বামী জীবিত থাকাকালে তাদের কোনদিন দেখেননি বা কারো মুখে শুনেও নি বর-জাহানুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী আছে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে একই রকম কাগজাদি দাখিল করেন।
এমতাবস্থায় মোসা; জোহরা বেগম মৃত বর জাহানুল এর নাম জালিয়াতির মাধ্যমে আইডি কার্ড সহ সকল কাগজদী সম্পাদন করিয়া টাকা ও সম্পত্তি দখলের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করিতেছেন।তিনি এই আইডি কার্ড,জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্র জালিয়াতির বিচার চান।অভিযুক্ত নারী মাতা ও কন্যার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করিয়া তাদের না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।